ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সমাবেশ ঠেকাতে সরকার তুঘলকি নীতি গ্রহণ করেছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
সমাবেশ ঠেকাতে সরকার তুঘলকি নীতি গ্রহণ করেছে: রিজভী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

ঢাকা: বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার দমনের এক তুঘলকি নীতি গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, আগামীতে সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকার সমাবেশকে ব্যর্থ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে ‘অপারেশন সার্চ লাইটের’ মতো সহিংস আক্রমণ করছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকার আকাশচুম্বি রিজার্ভের পরিমাণ, বিদ্যুতের বন্যা বইয়ে দেওয়া ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে ভুয়া পরিসংখ্যান তৈরি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু দেশের মানুষ এসব কখনোই বিশ্বাস করেনি। এখন আন্তর্জাতিক চোখেও উন্মোচিত হয়েছে-এরা কত ধাপ্পাবাজ। কিন্তু মানুষ নিজেদের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করছেন-কি ভয়াবহ দুঃসহ পরিস্থিতি তারা অতিক্রম করছেন। দেশের অধিকাংশ মানুষের এখন ‘নুন আনতে পানতা ফুরায়’।

তিনি বলেন, প্রায় দেড় দশক ধরে বর্তমান রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকারের বেপরোয়া লুটপাট, সীমাহীন দুর্নীতি ও অসহনীয় দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিস্ট হচ্ছে সারাজাতি। দেশ এখন গভীর সংকটে নিপতিত। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস এবং অজস্র রক্তধারার বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের কবর রচনা করে শুধু পুলিশি শক্তির ওপর ভর করে টিকে থাকা সরকার গোটা জাতিকেই পরাধীন করেছে।

রিজভী বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি সভার অংশ হিসেবে গতকাল নরসিংদীতে বিএনপি কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। কার্যালয়ের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনসহ নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ করে রাখার পরে পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে অবরুদ্ধ নেতাদের হয়রানি ও নাজেহাল করে। তারপর তাদের চিরচেনা চক্রান্তের অংশ হিসেবে সাজানো কাহিনি তৈরি করে। লাইসেন্স করা বিএনপি নেতার অস্ত্রকে তারা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম সোহেল, বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন, জামাল মিয়া, মনিরুল ইসলাম মনির, জেলা কৃষকদল নেতা কামাল উদ্দিন কমল, ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করে।

তিনি বলেন, ১৯ নভেম্বর সিলেটে গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সহিংস সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। গুম হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনার গাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। তিনি গণসমাবেশের লিফলেট বিতরণকালে ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায়। এতে গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং লুনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। অথচ পুলিশ ওসমানী নগর উপজেলা ছাত্রদলের ফয়সাল আহমেদ, নুরুল ইসলাম ও শাহেদ আহমেদকে গ্রেফতার করে। নরসিংদীতে পুলিশ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা, গ্রেফতার এবং সিলেটে লিফলেট বিতরণকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মুনির হোসেন, মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, সাইয়েদুল আলম বাবুল, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২

এমএইচ/জেএইচ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।