ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি: মঈন খান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি: মঈন খান

সিলেট: বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার ও কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিলেটের গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।  

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।

কেননা, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেই কথাগুলোর বলার জন্য এ গণসমাবেশের আয়োজন করেছি। আর বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেতে চায়। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাই গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলি। আমরা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলি না।  

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরের আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠেয় বিভাগীয় সমাবেশস্থলের প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।  

সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেন, যদিও সরকার বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কাল্পনিক অভিযোগ এনেছে। কিন্তু আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শিখিয়ে গেছেন, জনগণের শক্তিই বড় শক্তি। জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। সেটার ওপর বিশ্বাস করে আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। তাই জনগণের ভোটের ও কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি। সেই কথাগুলোর বলার জন্য এ গণসমাবেশের আয়োজন করেছি।

তিনি বলেন, আগামী শনিবারের সমাবেশে আমরা জনগণকে বলবো, ভোটের অধিকার তারা ফিরে পাক। গণতন্ত্র যেনো ফিরে পান। আজ থেকে ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছিল। তারা উপলব্ধি করেছিল, পাকিস্তানের অবকাঠামের ভেতরে গণতন্ত্র সম্ভব নয়। পরবর্তীতে আমরা দেখেছিলাম এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেই এক দলীয় শাসন থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করে তাদের হাতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, গত ১৪ বছর থেকে দেশে একটি সরকার আছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বরং ক্ষমতা আকড়ে ধরে আছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি সমাবেশ সফল হয়েছে। তারা বিভিন্ন পায়ে পা দিয়ে উসকানি দিচ্ছে। তারা বাস-মিনি বাস মালিক সমিতিকে দিয়ে খেলায়। সরকার বিভিন্ন সমিতিগুলোর ব্যবহার করে বিএনপির গণস্রোতকে ঠেকিয়ে দিতে চায়। কিন্তু এদেশের মানুষ জেগে ওঠেছে। মানুষ আজকে সম্পৃক্ত হচ্ছে। যার জন্য নাম দেওয়া হয়েছে গণসমাবেশ। সব শ্রেণি পেশার মানুষ এ মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হবে। এছাড়া এ নগরী হবে গণসমাবেশের নগরী।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় সদস্য জি কে গৌস ও মিজানুর রহমান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগরের আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগরের সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।