ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

সাম্প্রতিক অর্জন পরাজয়হীন জাতির ঐতিহ্যই জানান দিচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
সাম্প্রতিক অর্জন পরাজয়হীন জাতির ঐতিহ্যই জানান দিচ্ছে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল থেকে: বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জন বাঙালি যে পরাজয়হীন জাতি সেই ঐতিহ্যই বিশ্ববাসীকে জানান দিচ্ছে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ব্রাসিলিয়া বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ৪৫তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েসের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা।

অফিসিয়াল কাজে রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েসের ঢাকা অবস্থান করায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

পর্তুগিজ ভাষায় বক্তব্যটি অনুবাদ করে শোনান দূতাবাসের কর্মচারী ফিলিপ থমাসি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে একটি প্রতিকী স্মৃতিসৌধে দূতাবাসের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা। দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে নাহিয়ান পাশা।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস তার বক্তৃতায় বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও মসৃণ ছিলোনা। ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করার মাধ্যমে বাঙালির স্বপ্ন পূরণের এই চলমান সংগ্রাম বাধাগ্রস্ত করা হয়। এরপরও বাঙালি থেমে থাকেনি। বারবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত এসেছে, বারবারই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।

রাষ্ট্রদূত কায়েস একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সাম্প্রতিক বিচার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলো, পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগি হয়ে স্বজাতির রক্তে যারা হাত রাঙ্গিয়েছে তাদের বিচার হচ্ছে।

এ বিচার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মানবতাবিরোধীদের বিচার। এই অপরাধীদের আর কোনো পরিচয় থাকতে পারেনা। এদের আর কোনো পরিচয়ে পরিচিত করার চেষ্টা না করতে বিশ্ব মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

নারীর ক্ষমতায়ন, জাতীসংঘ সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু আন্দোলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব গ্রহণ বাংলাদেশের এমনসব অর্জনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাঙ্গণে বাংলাদেশ আজ একটি অনুকরণীয় নাম। বাঙালির সাম্প্রতিক এসব অর্জন আমাদের পরাজয়হীন জাতির ঐতিহ্যই বিশ্ববাসীকে জানান দিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ব্রাসিলিয়ায় বসবাসরত বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন। এর আগে সকালে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাস ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫    
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।