শুক্রবার (১২ অক্টোবর) থেকে রোববার (১৪ অক্টোবর) তিন দিনব্যাপী বর্ণিল কর্মসূচির মাধ্যমে এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের উপস্থিতিতে রোমের কেন্দ্রস্থল ভিত্তুরিও পার্কে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রথম দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় টিয়েত্রো সান গাসপারের হল রুমে বাংলাদেশের উন্নয়নের উপরে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতিথিদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের পর স্থানীয় বিশিষ্ট শিল্পীগণ বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন। ময়মনসিংহ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে আগত শিল্পীবৃন্দ ময়মনসিংহ গীতিকার অন্যতম প্রেম উপাখ্যান ‘মহুয়া পালা’ মঞ্চস্থ করেন।
কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে (১৩ অক্টোবর) ময়মনসিংহ একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের শিল্পীরা আনকোনা শহরে মহুয়া পালাটি পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে আনকোনা সিটি মেয়র, রেজিয়নে প্রেসিডেন্ট, পুলিশ প্রধান, আনকোনা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির রেক্টর, ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, এমনকি আনকোনা শিপইয়ার্ডের (যেখানে পাঁচ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত) কর্ণধার উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন মেলার অংশ হিসেবে ১৪ অক্টোবর আনকোনায় দিনব্যাপী দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়। সেখানে ২০০ জনের ও অধিক বাংলাদেশিকে স্থানীয়ভাবে কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়।
এছাড়া মেলা উপলক্ষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের পরিসংখ্যান ও চিত্র গত দুই বছরে বাংলাদেশ দূতাবাস রোমের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এনটি