ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

সিডনিতে সৌম্যের জয়গান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
সিডনিতে সৌম্যের জয়গান সৌম্য সরকার। ছবি: উজ্জল ধর

সিডনি থেকে: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে একক প্রাধান্য দেখিয়ে অনায়াসে সিরিজ জিতে নিলো টাইগাররা। সাত উইকেটের এই জয়ে জিম্বাবুয়েকে ‘বাংলাওয়াশ’ করলো মাশরাফিবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদশিরা কামব্যাক ম্যাচে সৌম্য সরকারের ভয়ডরহীন ক্রিকেট দেখে মুগ্ধ।

কথায় আছে, ক্রিকেটে ফর্ম টেমপোরারি, কিন্তু ক্লাস পার্মানেন্ট।

সৌম্যের ক্ষেত্রে এ কথা যেন ভীষণভাবেই প্রযোজ্য। বেশ কিছুদিন ধরেই তার ফর্মটা ফ্লাকচুয়েট করছিল। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ম্যাচে তার আভা প্রজল্লমান যেমন একটি ঘুমন্ত অগ্নিগিরি হঠাৎ জেগে ওঠে। আকস্মিক ডাক পেলেন, যেমনটি এশিয়া কাপে হয়েছিল। কিন্তু সেবার আশানুরূপভাবে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। তারপর দৃঢ় সংকল্প করলেন, কঠোর অনুশীলন চালিয়ে গেলেন। অবশেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ - যে রুদ্রমূর্তি দেখতে সবাই আগ্রহী। সব পঙ্কিলতাকে পাশে রেখে জিম্বাবুয়ের বোলারদের  কাঁদিয়ে সৌম্য করলেন আগ্রাসী শতক। আর তাতেই আনন্দে বিহ্বল হলো ক্রিকেট প্রেমী কোটি কোটি প্রাণ।

অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীরা সাধারণত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করে। চার-ছক্কার ফুল ঝুড়ি ফুটিয়ে সৌম্য যেভাবে জিম্বাবুয়ের বোলারদের তুলোধুনো করেছেন তাতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালিদের কুর্ণিশ পেয়েছেন। তার সুন্দর সব আগ্রাসী সট সবাইকে বিহ্বল করে তুলেছে। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যেমন ঔদ্ধত্য দেখান বিপক্ষের বোলারদের ওপর তেমনি সৌম্য সরকারও যেন বিধ্বংসী ছিলেন চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের ম্যাচে।  

সৌম্য সরকারের পাশাপাশি ইমরুল কায়েসও ম্যাচটিতে অনবদ্য শতরান করেছেন। সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনিও। কিন্তু সৌম্যের চোখ ধাঁধানো সটগুলো যেন সবার স্মৃতি কোঠায় স্থায়ী জায়গা করে নিলো। এজন্যই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও তাকে স্বরূপে ফেরাতে সচেষ্ট ছিল। এখন সময় তার সামনের দিকে এগিয়ে চলা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।