পর্তুগাল থেকে: করোনার কারণে যেখানে ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো জনগণের চলাচল এবং ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করছে, তখনই আরেক দফা বিধিনিষেধ শিথিল করছে পর্তুগাল।
বুধবার (২) জুন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নাগরিকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
পর্তুগালে তুলে নেওয়া হচ্ছে প্রায় ৯০ শতাংশ বিধিনিষেধ। প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার ঘোষণা অনুযায়ী দুই ধাপে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৪ জুন থেকে টেলি ওয়ার্ক শিথিল করা হয়েছে। ওইদিন থেকে রেস্টুরেন্টের ভেতরে একই টেবিলে ছয়জন ও বাইরে ১০ জন বসতে পারবেন। মালিকরা রেস্টুরেন্টগুলো রাত ১টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবেন, কিন্তু খাবারের অর্ডার নিতে পারবেন রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো আগের নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করা যাবে। থাকছে না মহামারিতে আরোপিত সময় সংক্রান্ত কোনো বাধা নিষেধ। সুপার মার্কেট ও মিনি মার্কেট এর আওতাভুক্ত থাকছে। মিউজিয়াম বা সিনেমা হলগুলো মোট ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শনার্থী নিয়ে খোলা রাখা যাবে। স্টেডিয়াম বা মাঠগুলোতে ৩৩ শতাংশ দর্শক নিয়ে খেলা পরিচালনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ২৮ জুন থেকে নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলো পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েনমেন্ট ছাড়াই সেবা দিতে পারবে। গণপরিবহনগুলো যাত্রী নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মের মতো নির্দিষ্ট মাত্রায় চলাচল করতে পারবে। তবে ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত রয়েছে পানশালা ও ডিস্কোর জন্য। আগামী আগস্ট পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সহযোগিতা পাবে।
বর্তমানে পর্তুগাল করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। এদিকে পর্তুগাল আগস্টে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী নাগরিকদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে। ১ জুন দেশটির টিকাকরণ প্রচারণার সমন্বয়কারী হেনরিক গৌভেইয়া মেলোর লিসবনে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
এসআই