পর্তুগাল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন এমপি শুক্রবার (০১ জুলাই) লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত আলভারো মেন্ডোসা ই মৌরা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও ফিতা কাটার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারি ভবনের দেওয়ালে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বিএন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য, পর্তুগিজ অতিথিসহ প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, স্থায়ী চ্যান্সারি বিল্ডিং একটি দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। কারণ আমাদের দূতাবাসের কাজের চাপ বহুগুণ বেড়েছে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং জনসাধারণের জন্য কনস্যুলার বিষয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধির কারণে। নতুন চ্যান্সারি ভবন বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
তিনি লিসবনে স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, চ্যান্সারি বিল্ডিং একটি রূপান্তরকারী বাংলাদেশের উপস্থিতির প্রতীক। এই বিল্ডিংটি কেবলমাত্র একটি নির্মাণ বা ঘের নয়, এটি পর্তুগালে আমাদের বন্ধুদের কাছে এখানে আমাদের অবস্থানের বার্তা বহন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল পর্বের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারির বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন, চ্যান্সারি ভবনের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করেন এবং কনস্যুলার সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের অব্যাহত সাফল্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২২
এসি/টিসি