ফরিদপুরের সালথায় অভিযান সত্ত্বেও থামছেই না কুমার নদে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন। এতে দুই পাড়ে থাকা বসতবাড়ি ও পাকা সড়ক হুমকির মুখে পড়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সালথা উপজেলার সোনাপুর ও যদুনন্দী ইউনিয়ন অর্থাৎ সোনাপুর ও খারদিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন সিন্ডিকেট প্রধান নাসির। আবার বালু নেওয়ার পাইপ স্থাপন করা হয়েছে সড়কের ওপর দিয়ে, যেখানে কোনো সংকেত দেওয়া হয়নি। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, নাসিরের অন্য কোনো পেশা নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কুমার নদসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এছাড়া তার রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। যার কারণে সে কাউকে তোয়াক্কা না করেই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ এই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
চলতি মাসের ৬ এপ্রিল অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন করার দায়ে এই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মেশিন অকেজো করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের পর বসে ছিল না প্রভাবশালী এই নাসির। কিছুদিন পার না হতেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একই স্থানে পুনরায় শুরু করেছেন বালু উত্তোলন।
কুমার নদের দুই পাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সৃজনে কুমার নদটি খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এছাড়া কোটি কোটি টাকার খরচ করে নদের দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সেই সড়ক দুটি এখন ঝুঁকিতে পড়েছে।
এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালীর সঙ্গে কথা বললে তিনি পুনরায় অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
এসআরএস