ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

তিন পার্বত্য জেলাকে কফি অঞ্চল বানাতে চাই: পার্বত্য উপদেষ্টা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
তিন পার্বত্য জেলাকে কফি অঞ্চল বানাতে চাই: পার্বত্য উপদেষ্টা বক্তব্য দিচ্ছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলাকে (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) কফি অঞ্চল বানাতে চাই।  

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, কাজু বাদাম এবং কফি চাষকে পার্বত্যাঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। সিলেটকে আমরা যেভাবে চায়ের জন্য চিনি। সিলেটের নাম শুনলে মনে হয় চায়ের দেশ, তেমনি এ তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম যেন কফির অঞ্চল হয়। আমি গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করছি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে এ কাজটি করাতে। কিন্তু তারা এখনো কাজটি করেনি। ভবিষ্যতে যদি তারা কাজটি না করে আর ততদিন যদি আমি পার্বত্য উপদেষ্টা পদে থাকি, তাহলে এগ্রিকালচারকে দিয়ে এ কাজটি করাব।  

সরকার পার্বত্য মন্ত্রণালয়কে ৫৫০ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

সাবেক এ রাষ্ট্রদূত কাপ্তাই হ্রদ প্রসঙ্গে বলেন, এখানকার বাসিন্দারা বলেন, কাপ্তাই হ্রদের জন্য আমরা ফকির হয়ে গেছি। কাপ্তাই হ্রদটা এখন স্বর্ণ হয়ে গেছে। জেলা পরিষদ কি জানে না যে সরকার তাদের ৩০টি বিভাগ হস্তান্তর করেছে? জেলা পরিষদ কি কাপ্তাই হ্রদকে নিয়ে কোনোদিন ভেবেছে?

রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নের জন্য, সভা-সেমিনার করেন, লেকটাকে ভালোভাবে ব্যবহারের চিন্তাও করেন। আমি ঢাকা থেকে চাপিয়ে দেওয়া বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসব না, আপনাদের বিশেষজ্ঞ ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।

বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ তত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।  

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন-বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি রাজিব কান্তি বড়ুয়া। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন- ঘাগড়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শ্যামল মিত্র চাকমা।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-মন্ত্রী মণি স্বপন দেওয়ান, মং সার্কেল চিফ রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।