ঢাকা, শনিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

নীলফামারীতে হাঁসফাঁস গরমে বেড়েছে শরবতের চাহিদা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
নীলফামারীতে হাঁসফাঁস গরমে বেড়েছে শরবতের চাহিদা

নীলফামারী: গোটা জেলায় তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনের। মানুষ খুঁজছে শীতল ছায়া, গাছের নিচ বা ঠান্ডা কিছু পানীয়।

এরই মধ্যে শহর ও গ্রামগঞ্জে বেড়েছে শরবত ও কোমল পানীয়ের চাহিদা। অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা নানান অসুস্থতায় ভুগছেন।

দিনে প্রচণ্ড গরম থাকলেও রাতের শেষভাগে কাঁথা বা কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে, সৃষ্টি হয়েছে আবহাওয়ার বৈপরীত্য।

গরমে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। টিউবওয়েল ও সেচযন্ত্রে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় খাবার পানি ও কৃষিকাজ—দুটিতেই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।  

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিবছর পানির স্তর নিচে নামার কারণে এ সমস্যা তীব্র হচ্ছে।

তাপদাহে অনেকে যেমন রিকশা-ভ্যান চালানো থেকে বিরত থাকছেন, তেমনি সাধারণ মানুষের চলাফেরা কমে গেছে।  

সৈয়দপুরের হাতিখানা ক্যাম্প এলাকার রিকশাচালক আবুজার রহমান (৬২) বলেন, বয়স হয়েছে, রোদে থাকতে পারি না। কিন্তু সংসারের খরচ তো থেমে থাকে না, তাই বিকেলে রোদের তেজ কমলে রিকশা নিয়ে বের হই।

এদিকে তৃষ্ণা মেটাতে শহর থেকে গ্রামের হাটবাজার পর্যন্ত গড়ে উঠেছে শরবতের অস্থায়ী দোকান। আখের রস, লেবু ও বেলের শরবতের পাশাপাশি ফলের জুস বিক্রি হচ্ছে। গ্লাস প্রতি শরবতের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা, আর জুসের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আইসক্রিম ও বোতলজাত কোমল পানীয়ের চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বাতাসে আর্দ্রতা রয়েছে ৬৩ শতাংশ। এ কারণে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম হলেও গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।