ঢাকা, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জুন ২০২৫, ০৫ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিরাপদে সরে যেতে চলছে মাইকিং

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৫, মে ৩১, ২০২৫
টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিরাপদে সরে যেতে চলছে মাইকিং পাহাড়ের পাদদেশের বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে

গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা বেড়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক।

 

এদিকে বৃষ্টির কারণে জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টির পানিতে সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী ও বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বান্দরবানে গত ২৯মে থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) বান্দরবানে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অতি বৃষ্টির কারণে জেলা সদরসহ রুমা, থানচি এবং আলীকদম উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে, আর গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তারে পড়ার কারণে বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
দুর্যোগের এই মুহূর্তে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে জেলা ও উপজেলার বিভিন্নস্থানে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বান্দরবানের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী জানান, বান্দরবানে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে আর এই কারণে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মাইকিং করে স্থানীয় জনতাকে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিরাপদে সরে যেতে অনুরোধ করছি।  

তিনি আরও বলেন, টানা বৃষ্টিতে বিভিন্নস্থানে নিম্নাঞ্চলে পানি জমেছে আর বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় সংবাদ পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বান্দরবানের সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে উদ্ধার কাজ ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগকালীন জরুরি খাদ্য, ওষুধ সরবরাহ ও জরুরি সেবার জন্য জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে বলে জানায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সিভিল সার্জন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিওদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ‘দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা কমিটি’। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।