গণমাধ্যম জগতে খুব পরিচিত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। এটি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ২৪ ঘণ্টা খবর প্রকাশের ওয়েব পোর্টাল।
‘সংবাদ বিনোদন সারাক্ষণ’-এই স্লোগান নিয়ে ২০১০ সালের ১ জুলাই বাংলানিউজ যাত্রা শুরু করে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় এবং বিশেষ কিছু উপজেলায় এর প্রতিনিধি রয়েছে। আর বিশ্বের বড় বড় শহরেও রয়েছেন বাংলানিউজের প্রতিনিধি।
যেকোনো ঘটনার সংবাদ মুহূর্তের মধ্যে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয় বাংলানিউজ। যা ছড়িয়ে যায় দেশ বিদেশে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে পাঠক পাচ্ছে সত্যিকারের খবর। কিন্তু অনেক গণমাধ্যম রয়েছে শুধুমাত্র নগর, মহানগরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাংলানিউজ ঠিক তার উল্টো। উপকূলের নিউজ খুব গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে এই গণমাধ্যমটি।
১৯ জেলা নিয়ে উপকূল। এই উপকুলজুড়ে রয়েছে সম্ভাবনার পাশাপাশি সমস্যাও। রয়েছে নানাবিধ সম্পদ। আর সম্পদের মধ্যে রয়েছে মৎস্যখাত। জিডিবিতে মৎস্যখাতের উপকূলের জেলেদের রয়েছে অনেক অবদান। উপকূলের জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়-তুফান ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের আমিষের যোগান দেয়। কিন্তু তাদের জীবন কীভাবে কাটে, সেটি নিয়ে আমাদের নীতি নির্ধারকরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে ভাবেন না। ভাবলেও এর প্রকৃত সুফল জেলেরা পান না। গত কয়েক দশকে দেশে মাছের উৎপাদন ৪৫ গুণ বাড়লেও জেলেদের জীবনমানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। বরং সামগ্রিকভাবে তারা বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। উপকূলের ঝড় জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, জেলেদের ঝুঁকিসহ উপকূলের নানা সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে ভাবে বাংলানিউজ। বাংলানিউজ তুলে ধরে উপকূলের খেটে খাওয়া মানুষের কথা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকার করা জেলেদের দুঃখ দুর্দশার কথা। তুলে ধরে উপকূলের পদ্মা পাড়ের মর্জিনাদের কথা, বিধবা নারীদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা।
বাংলানিউজে বাদ যায় না পাথরঘাটা বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাদুরতলা গ্রামের বাবা হারা হাসিবের কথা। বাদ যায় না বলেশ্বর নদীর পাড়ে সাগরে নিখোঁজ হওয়া কালু মাঝির মেয়ে রাইসার কথাও।
বাংলানিউজই প্রথম গণমাধ্যম যেখানে 'উপকূল থেকে উপকূল' নামে একটি বিভাগ চালু করে। বাংলানিউজে উঠে আসে সাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা জেলেদের দুর্বিসহ জীবনের কথা, উঠে আসে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেগ, অনুভূতি আর কষ্টের গল্প; উপকূলে কর্মরত বাংলানিউজের প্রতিনিধিরা ঝড় জলোচ্ছ্বাস বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় দ্রুত পাঠকদের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেন বাংলানিউজের অফিসে।
বাংলানিউজ হচ্ছে উপকূলের বন্ধু, উপকূলের পরিবার। আমিও বাংলানিউজের কর্মী হয়ে গর্বিত। বাংলানিউজ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি, অনেক অভিজ্ঞতা নিয়েছি। উপকূলের জীবন-জীবিকা আর দুঃখ দুর্দশার গল্প তুলে ধরতে পারছি স্বাচ্ছন্দ্যে। উপকূল এবং মানুষের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে স্টোরি করা যায় তা বাংলানিউজ দেখিয়েছে। এ জন্যই বাংলানিউজকে ভালো লাগে, বাংলানিউজ উপকূলের সংবাদকর্মীদের অনুপ্রেরণা। এই অর্থে সব সময় আপডেট তথ্য পেতে সাংবাদিকরা ভিজিট করেন বাংলানিউজ।
এ ক্ষেত্রে বাংলানিউজ পাঠকদের মাঝে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে পাশাপাশি উপকূলের মানুষের মাঝেও বাংলানিউজ এক বিশ্বস্ততার মাধ্যম। বাংলানিউজ মানুষের কথা বলে, উপকূলের কথা বলে, ভবিষ্যতেও উপকূলের কথা বিরামহীন তুলে ধরবে। উপকূলের পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে বাংলানিউজ। ১৬ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বাংলানিউজের সঙ্গী হয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখো-কোটি পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী। আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ‘সাহসে ষোলোর বাংলানিউজ’। শুভ জন্মদিন বাংলানিউজ।
আরএ