ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০২ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিশন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:০৬, জুলাই ২৮, ২০২৫
মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিশন  মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান

ঢাকা: উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রোববার (২৭ জুলাই) রাতে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ সই করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার প্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হলো।

সাবেক সচিব এ কে এম জাফর উল্লা খানকে সভাপতি করে এ কমিশন গঠন করা হয়।

সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সাবেক সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম সাঈদ হোসাইন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মন্ত্রণালয় মনোনীত) অতিরিক্ত সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের (মন্ত্রণালয় মনোনীত) অতিরিক্ত সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (মন্ত্রণালয় মনোনীত) অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার।

আরও রয়েছেন- নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভগের অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ আলি।

তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধি:

১. গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিত, কারণ ও দায়দায়িত্ব উদ্‌ঘাটন করা;

২. এ ঘটনায় স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক ও অন্যান্যদের জীবনহানি ও গুরুতর আহত হওয়ার বিষয়সহ সব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলো চিহ্নিত করা;

৩. বিমানবন্দরের অতি নিকটবর্তী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও অপরাপর স্থাপনা নির্মাণ এবং ফ্লাইং জোনের অবস্থানগত সঠিকতা ও নিরাপদ পরিচালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনগত ও প্রশাসনিক বিষয়গুলো পরীক্ষা করা;

৪. দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন, ফ্লাইং জোনে ভবন নির্মাণ ও ভয়াবহ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান;

৫. এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ প্রদান করা।

তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যে কোনো স্থান পরিদর্শন এবং যে কোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

কমিশন চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

কমিশনারের কার্যালয়, ঢাকা বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

এমআইএইচ/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।