ঢাকা, শনিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালেন আ. লীগ নেতা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৪, আগস্ট ২, ২০২৫
চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালেন আ. লীগ নেতা  নির্যাতনের শিকার রায়হান মিয়া

রংপুর: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

শনিবার (২ আগস্ট) উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুছা মিয়ার বাড়িতে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীকে বাধা দেয় মুছা মিয়া ও তার দলবল।

স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা মুছা মিয়ার একটি সাইকেল হারোনার জেরে শনিবার সকাল ১০টার দিকে মুছা মিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে ভাংনী দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে রায়হান মিয়া নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় মুসা মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পথরোধ করে কাঁঠালের গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট শুরু করে। মারপিটের একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্যহীন রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এ সময় স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে হাতে রশি দিয়ে বেঁধে বাড়ির অভ্যন্তরে নিয়ে গিয়ে তারা পুনরায় নির্যাতন চালায়। একটানা ৫ ঘণ্টা নির্যাতনের পরেও সাইকেল চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয় মুসা মিয়া গং।

এদিকে নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী হৃদয় হাসান সাকিব। এ সময় সংবাদকর্মীকে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে না দিয়ে হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা মুসা মিয়া ও তার লোকজন।  

এ সময় মব জাস্টিস এড়াতে মিঠাপুকুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) হাফিজুর রহমানকে বারবার কল দেয়া হলেও ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ ফোর্স পাঠায়নি। দিনভর নির্যাতনের পর চুরির সত্যতা না পাওয়ায় ভুক্তভোগী রায়হানের বড় ভাই আক্তারুল ইসলামের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন রায়হানকে বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তুলে দেয় মুসা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রায়হান মিয়া ও তার পরিবার অব্যাহত ভয়ভীতির কারণে কথা বলতে রাজি হয়নি।  

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) মো. হাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। ওই ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ আমি পেয়েছি বলেই ফোন কেটে দেন।

জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ এর সর্বশেষ