ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

‘জমিন রক্ষা’র মিশনে যশোর-২ আসনে বিএনপিতে মুন্নি-মিজান দ্বৈরথ, জামায়াতের প্রার্থী বদল

সরোয়ার হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৪, আগস্ট ১২, ২০২৫
‘জমিন রক্ষা’র মিশনে যশোর-২ আসনে বিএনপিতে মুন্নি-মিজান দ্বৈরথ, জামায়াতের প্রার্থী বদল যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবিরা নাজমুল মুন্নী ও মিজানুর রহমান খান এবং জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী ডাক্তার মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ

যশোর: মানুষের মধ্যে মজাদার নানা কথা প্রচলিত রয়েছে যশোর-২ (ঝিকরগাছা, চৌগাছা) আসন নিয়ে। অনেকে এই আসনটিকে অতিথিদের জন্য বরাদ্দ বলে টিপ্পনি কাটেন।

কেউ কেউ বলেন, ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ শেষ কয়েকটি মেয়াদে আসনটিকে সহযোগীদেরকে কোটা হিসেবে উপহার দিয়েছে।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যারাই এই আসনে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের অধিকাংশ ‘আমদানি’ করা বলেও মজা করেন কেউ কেউ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তেমনটি হবে কি না তা সময় বলে দেবে। তবে, এরই মধ্যে নির্বাচনী জোয়ারে ভাসতে শুরু করেছে এই আসনের অন্তর্গত ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার মানুষ।  

সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিএনপির অন্তত ছয়জন নেতা মাঠে সক্রিয়। সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করছেন। খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি নানা সহায়তার হাতও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে, শেষ পর্যন্ত দুই নেতার মধ্যেই মনোনয়নের লড়াই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।

ইতিমধ্যে পরিবর্তিত প্রার্থী নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে জামায়াতে ইসলামী। ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে নির্বাচনী ময়দানে যুক্ত হয়েছেন দলের প্রার্থী ডাক্তার মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ।  

খেলাফত মজলিসও তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একজনের নাম শোনা যাচ্ছে।  

এনসিপির কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি। দলটি এখনো জেলায় সাংগঠনিক কাঠামো প্রস্তত করতে সময় পার করছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।

যশোর-২ সংসদীয় আসনে ২২টি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌরসভা রয়েছে। সমান সংখ্যক ১১টি করে ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলাতে। দুটি উপজেলাই ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। নীল বিদ্রোহ থেকে শুরু করে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে উপজেলা দুটির নাম চির স্মরণীয়। এরমধ্যে চৌগাছাকে বলা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রবেশদ্বার। এখানেই সংগঠিত হয়েছিল মুক্তি সংগ্রামে ঐতিহাসিক মল্লযুদ্ধ। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদটি বয়ে চলেছে দুই উপজেলা দিয়ে। ঝিকরগাছার বুক চিরে চলে গেছে ঐতিহাসিক যশোর রোড। চৌগাছার তুলা বীজ বর্ধন খামার এক দর্শনীয় স্থান হিসেবে সুবিদিত। ঝিকরগাছার গদখালির ফুল উৎপাদন জোনের নাম জানেন না এমন মানুষ দেশে পাওয়া মুশকিল। মাঠ, নদী, খাল, বিল, বাওড়ে ভরা ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা সত্যিকার অর্থেই শস্য শ্যামলা, সুজলা-সুফলা। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র অমৃতবাজার ঝিকরগাছা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।

যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের ‘অতিথি আপ্যায়ন’ শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে। সেবার এখান থেকে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সদ্য ছাত্র রাজনীতি শেষ করা ঝিনাইদহের সন্তান (তখন ঝিনাইদহ যশোর জেলার অন্তর্গত পৃথক মহাকুমা ছিল) নূরে আলম সিদ্দিকী।

১৯৭৯ সালেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। সেবার ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ঝিনাইদহের সন্তান জামায়াত নেতা নুরুন্নবী ছামদানী। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মকবুল হোসেন। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি হন মীর শাহাদাতুর রহমান। এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথম নির্বাচনে এই আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিরি পরবর্তীতে সরকারের মন্ত্রীসভায়ও স্থান পেয়েছিলেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হয়েছিলেন। এর মাঝে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন বিএনপির অ্যাডভোকেট কাজী মুনিরুল হুদা।  

২০০১ সালে চার দলীয় জোটের আমলে বিএনপি আসনটি জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দেয়। সেবার আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।  

এর পরের বছর থেকেই আবার আওয়ামী লীগের ‘অতিথি আপ্যায়ন’ এর রাজনীতি শুরু হয় আসনটি নিয়ে। ২০০৮ সালে প্রার্থী করা হয় সাবেক কূটনীতিক প্রয়াত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদকে। ভারতীয় প্রভাব বলয়ের সাথে যুক্ত থাকার উপহার হিসেবে তিনি এই আসনের মনোনয়ন লাভ করেছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে।  

২০১৪ সালে শুরু হয় পাতানো নির্বাচন। সেবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম। ওই শেষ। আবারও অতিথিদের জন্য বরাদ্দ করা আসনটিতে আওয়ামী লীগ একে একে বিজয়ী করিয়ে আনে ২০১৮ সালে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাসির উদ্দিন এবং ২০২৪ সালে ডাক্তার তৌহিদুজ্জামানকে। এ দুজনই বিশেষ গোষ্ঠীকে দেওয়া আওয়ামী লীগের ‘কোটা’য় এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। যদিও এসব মানুষ জন্মসূত্রে ঝিকরগাছার অধিবাসী। তবে, স্থানীয় আলো-বাতাসের সাথে কোনো সম্পর্ক তাদের ছিল না।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আমলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে, না কি ভূমিসন্তানরা শক্ত জমিনে ঘাঁটি গাড়বেন না নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে আসনটিতে কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়নি। তবে, বসে নেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।  

যশোর-২ আসনে এবার বিএনপির দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় রয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মিজানুর রহমান খান, যশোর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোর্তুজা এলাহী টিপু এবং দলের ঝিকরগাছা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ।

এসব নেতার মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবিরা নাজমুল মুন্নি এবং মিজানুর রহমান খান। মুন্নি বিএনপির ঝিকরগাছা উপজেলা সভাপতি নাজমুল ইসলামের স্ত্রী। ২০১১ সালে নাজমুল ইসলাম গুম হন। এর প্রায় চার মাস পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন মুন্নি। তিনি দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। এছাড়া, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু, ভোটের দিন সকালে সকল কেন্দ্র আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।  

দলীয় মনোনয়ন নিয়ে একাধিক নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবিরা নাজমুল মুন্নি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে প্রতিযোগী একাধিক থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তাদের মধ্য থেকে দল অবশ্যই যোগ্যদেরকেই মূল্যায়ন করবে। ’

তিনি বলেন, ‘নাজমুলের স্ত্রী হিসেবে নয়, দলের সিদ্ধান্তে জনগণের পাশে থাকার কারণেই আমি উপজেলাতে বিজয়ী হয়েছি। নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করেছি। এর আগে দলীয় মনোনয়ন থেকে শুরু করে নেতৃত্ব নির্বাচন প্রত্যেক ধাপেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ হয়ে আজ এই পর্যায়ে এসেছি। ’

যশোর-২ আসনে মোট ভোটারের ৫২ শতাংশ নারী উল্লেখ করে সাবিরা নাজমুল বলেন, ‘নারী প্রার্থী হিসেবে এটিও টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে নির্বাচনে। তাছাড়া, এলাকায় এলাকায় ঘুরে নারীদেরকে কৃষিবান্ধব উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছি। ’

দলের সিদ্ধান্তে প্রায় ১৫ বছরে ১৫টি মামলার আসামি হয়েছেন উল্লেখ করে সাবিরা নাজমুল বলেন, কখনো ভয়ে মাঠ ছেড়ে যাইনি। দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে সাহসিকতার সাথে তা পালন করেছি। এ সবই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দল মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করি। ’

বিএনপি এই আসন থেকে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে কী করবেন জানতে চাইলে মুন্নি বলেন, কাজ করবো ধুমছে। সবার আগে দল আর ধানের শীষ। যিনিই এই প্রতীক নিয়ে মাঠে নামবেন তাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। ’ 

যশোর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন লড়াইয়ে সাবিরা নাজমুল মুন্নিকে সবথেকে বেশি যার সাথে যুঝতে হবে তিনি হলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী নেতা মিজানুর রহমান খান। তিনি চৌগাছার সন্তান এবং যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি।

বাংলানিউজকে মিজানুর রহমান খান দলীয় মনোনয়ন লাভের আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘১২ বছর ধরে মাঠে আছি। তৃণমূলের সাথে আছি। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে আছি। দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছি। আগামীতেও করবো। আমার বিশ্বাস তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী দল আমাকে মূল্যায়ন করবে’।
 
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এখনো কেউ নিশ্চিত না। যে কেউ এই দল থেকে মনোনয়ন লাভ করতে পারেন। কারণ, বিএনপি দলটিই এমন যে, এখানে একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার মতো যোগ্যতা একাদিক নেতার মধ্যেই রয়েছে। সে কারণে প্রতিটি আসনেই কোনো একক নেতা নন, একাধিক নেতা মাঠে সক্রিয়। যশোর-২ আসনও এর বাইরে নয়। তবে, বিশ্বাস করি দল যোগ্যমত ব্যক্তির হাতেই ধানের শীষ তুলে দেবে। ’

এক্ষেত্রে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মিজানুর রহমান খান।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে জামায়াতে ইসলামী প্রথমে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল মাওলানা আরশাদুল আলমকে। তিনি ঝিকরগাছার অধিবাসী এবং ঝিকরগাছা গাজীর দরগাহ মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক। কয়েকমাস তিনি এলাকায় নির্বাচনমুখি নানা কার্যক্রমও পরিচালনা করেন।  

কিন্তু, কয়েক মাস আগে তার স্থলে দলটি প্রার্থী ঘোষণা করেছে ছাত্র শিবিরের ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ডাক্তার মোসলেহ উদ্দীন ফরিদকে। শিশু হৃদরোগ ও ইনটেনসিভ কেয়ার বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক প্রায় ৩০ বছর ধরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। যশোর সরকারি এমএম কলেজের প্রয়াত অধ্যক্ষ পাঠাগার আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ প্রফেসর শরীফ হোসেন তার পিতা। যশোর শহরের খড়কিতে তার জন্ম।

এই আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হচ্ছেন মাওলানা কামাল হুসাইন। তিনি দলের যশোর জেলা কমিটির সাবেক সেক্রেটারি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখনো এই আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে, দলের জেলা কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষক পরিষদের নেতা ইদ্রিস আলী মাস্টার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েল বলেছেন, ‘নির্বাচন হলেতো দল অংশ নেবেই। ইচ্ছা আছে সব আসনেই প্রার্থী দেওয়ার। তবে, এখনো যশোর জেলা কমিটি গুছিয়ে ওঠা যায়নি। এই (আগস্ট) মাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরপর কে কোন আসনে প্রার্থী হবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।  

এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।