ঢাকা, রবিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২২ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে টেক্সটাইল মিলে হামলা, আহত ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৩, আগস্ট ১৬, ২০২৫
২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে টেক্সটাইল মিলে হামলা, আহত ৫ হামলার দৃশ্য সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে

নরসিংদীতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মেহেদী হাসান ইমন নামে টেক্সটাইল মিলের এক মালিককে পিটিয়ে ও প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার টাওয়াদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারী শ্রমিকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আহত মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমন নরসিংদী শহরতলীর টাওয়াদী এলাকার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়ার ছেলে এবং নাবিলা টেক্সটাইলের মালিক।

অভিযুক্ত দোবাই দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং জমিদখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।

অন্যান্য আহতরা হলেন-কারখানার মালিক মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমনের বাবা আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া,  শ্রমিক সুজন মিয়া, রমজান আলী ও আছিয়া বেগম।

পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, টাওয়াদী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সন্ত্রাসী দোবাই ও সালামের ছেলে সন্ত্রাসী সাগর দীর্ঘদিন ধরে নাবিলা টেক্সটাইলের মালিক মেহেদী হাসান ইমনের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এরই জেরে ঘটনার দিন সকালে দোবাই এর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল টেক্সটাইল মিলে প্রবেশ করে কর্মরত শ্রমিকদের মারপিট করে বের করে দেয় এবং টেক্সটাইল মেশিনে লাগানো বিভিন্ন কাপড় ও সুতা কেটে কুচি কুচি করে ফেলে। এ সময় শ্রমিকরা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে করলে তারা নারী শ্রমিক ও মালিকের বাবাসহ ৪ জনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।  

এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহেদী হাসান ইমন এসে তাদের বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালায় এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এতে মেহেদী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসতে থাকলে সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় হত্যাসহ লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে নাবিলা টেক্সটাইলের মালিক মেহেদী হাসান ইমন বলেন, আমার কারখানা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকরা ভয়ে কারখানায় আসছে না। তারা আমার কারখানার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। আমাকে একা পাইলেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় আছি। আমরা ব্যবসা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে হামলার দৃশ্য সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়ে৷ ভিডিওতে দুইজন যুবককে মালিক ইমনকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করতে দেখা যায় এবং তিনজন যুবক টেক্সটাইল মিলের ভেতরে দেশীয় অস্ত্র উচিয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করতে শোনা গেছে।

নরসিংদী  মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগও পেয়েছি। বিষটি তদন্ত করে পরর্বতী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।