দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় একটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় জগদীশ চন্দ্র রায়ের ৩০ টন পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকটি বাংলাদেশে প্রবেশ করার মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়।
হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাশেদ ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, সততা বাণিজ্যালয়, নাশাত ট্রেডার্স, আল মক্কা ইমপ্রেস, সুরাইয়া ট্রেডার্স এবং জগদীশ চন্দ্র রায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেলেও পরিমাণ যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা।
আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, ৩০ টন করে অনুমতি খুবই সীমিত, যা একটি ভারতীয় ট্রাকের সমান। আগে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টন পর্যন্ত আইপি দেওয়া হতো।
অন্যদিকে আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরের বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। দুদিন আগে যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৭৫ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের সর্বশেষ গত ৩ মার্চ এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
এসআরএস