ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় হানিফ পরিবহনসহ লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।
তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও সওজের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোববার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিতভাবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।
কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপপরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে পদুয়ার বাজার ইউটার্নে চলন্ত লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে একই পরিবারের চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহন এবং লরির চালকসহ অন্যান্য অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ারবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্টবাহী লরির চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চারজন নিহত হন।
এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত হন।
নিহতরা হলেন-কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), তার বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম। উল্টোপথের হানিফ পরিবহনের একটি বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে প্রাইভেটকারকে চাপা দেয় লরিটি।
আরএ