জেলা প্রশাসনের অভিযানে সিলেটে এবার কয়েকটি পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর থেকে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার কয়েকটি বাড়ির পুকুর থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে এ পাথর উদ্ধার করে সদর উপজেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, এখানে কয়েকটি পুকুরে সাদা পাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে, এমন তথ্য ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে পাথর উদ্ধার করা হয়। তবে কি পরিমাণ পাথর রয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, ধোপাগুলের ওই পুকুরটি জেলা প্রশাসনের খাস খতিয়ানের। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে অনেকে এখানে স্থানীয় অনেক ব্যবসায় পাথর লুকিয়ে রেখেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাদা পাথর ফেরত দিতে জেলা প্রশাসনের আল্টিমেটাম শেষ হয়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে চিরুনি অভিযান চালানোর নির্দেশনা আগে থেকেই দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় সাড়ে ছয় লাখ ঘনফুট পাথর ফেরত দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রশাসনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আরও ১৯ লাখ ঘনফুট পাথর। সবমিলিয়ে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১১ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
এদিকে প্রশাসনের আল্টিমেটাম শেষে সিলেট জেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও পাচারের ঘটনা ঘটছে। এসব কার্যক্রমের কারণে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের আদেশে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণে ও বিক্রয়ের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আদেশ সরকারি আদেশ হিসেবে গণ্য হবে।
এনইউ/এএটি