ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে প্রশাসনের আশ্বাসে ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের অন্তর্গত দুইটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বেলা ১১টায় বিজয়নগরের চান্দুরা বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ সৃষ্টি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিএনপি, এনসিপি ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুইপাশে অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধনা ত্রিপুরা অবরোধস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। আধাঘণ্টা আলোচনার পর দাবি পূরণে তাদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে দেন বিক্ষুব্ধরা।
গত বৃহস্পতিবার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করে চূড়ান্ত গ্যাজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইমাম হোসেন, বলেন, চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করার ফলে প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। প্রশাসনের আশ্বাসে আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়ন না হলে রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জেএইচ