১৯ বছরের দিব্যা দেশমুখ ইতিহাস গড়লেন। ফিদে মহিলা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৫-এ কিংবদন্তি কনেরু হামপিকে হারিয়ে তিনি শুধু শিরোপাই জেতেননি, সঙ্গে পেয়েছেন ‘যোগ্যতা ছাড়াই’ সরাসরি গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব।
প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী, গ্র্যান্ডমাস্টার হতে হলে খেলোয়াড়কে কমপক্ষে তিনটি (জিএম) নর্ম অর্জন করতে হয় এবং একবার হলেও ২৫০০ ফিদে রেটিং স্পর্শ করতে হয়। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে একটি ‘সুবর্ণ সুযোগ’। ফিদে’র নিয়ম অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট টুর্নামেন্ট জিতলেই সরাসরি গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পাওয়া যায়—একেবারে রেটিং ও নর্ম ছাড়াই।
২০২৫ সালের ১ মে থেকে কার্যকর হওয়া ফিদে’র নিয়ম অনুযায়ী, ফিদে নারী বিশ্বকাপ জয়ীকে সরাসরি জিএম খেতাব দেওয়া হয়। ফলে দিব্যা দেশমুখ সেই নিয়মের আওতায় রেটিং বা নর্ম পূরণ না করেও গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পেয়েছেন।
গ্র্যান্ডমাস্টার এন. শ্রীনাথ এই নিয়ম ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হ্যারি পটার সিরিজের কুইডিচ খেলার উদাহরণ দেন, ‘এটা অনেকটা গোল না করে সরাসরি গোল্ডেন স্নিচ ধরার মতো—এক লাফে জয়। ’
এই জয় কেন এতটা ঐতিহাসিক?
এই প্রথম কোনো ভারতীয় নারী খেলোয়াড় ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনাল জিতলেন। কনেরু হামপি ছিলেন ভারতের প্রথম নারী গ্র্যান্ড মাস্টার, যিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। এবার সেই হামপিকেই হারিয়ে দিব্যা পেলেন ইতিহাসের স্পর্শ।
আগের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স ছিল হারিকা দ্রোনাভাল্লির কোয়ার্টার ফাইনাল (২০২৩)। দিব্যার সাফল্য সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে।
পুরস্কার হিসেবে কী পেলেন দিব্যা?
ফিদে নারী ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি জিতে দিব্যা পেয়েছেন ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার, ২০২৬ সালের ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের টিকিট এবং সবশেষে, গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব—যেটি একাধিক পথে জেতা যায় না, আজকের দিনে শুধুমাত্র সবচেয়ে যোগ্যরাই তা পায়।
এমএইচএম