ঢাকা: ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ২৮তম জন্মদিন মঙ্গলবার। ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সাকিব আল হাসানের জন্ম মাগুরা জেলায়। তার বাবার নাম মাশরুর রেজা। বাবা চাইতেন পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবলার হবে ছেলে। তবে এদেশের ক্রিকেটের সৌভাগ্য সেদিনের ছোট্ট সাকিব বলে লাথি মারার চেয়ে ২২ গজের ক্রিজেই বেশি আনন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন। মাগুরার সাকিব এখন জনপ্রিয়-সুপরিচিত ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে।
২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক। সাকিব বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ও বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। সাবিক দলে থাকা মানে একজন পূর্ণ ব্যাটসম্যান ও একজন পূর্ণ বোলারের কাজ একাই করে দেওয়া।
সাকিবের ক্রিকেটের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে। ক্রমেই তার খেলার মান আর ধারাবাহিকতা তাকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। হয়েছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়।
নিজের ছোট্ট ক্যারিয়ারে সাকিব গড়েছেন এমন সব কীর্তি যা তাকে গ্রেটদের সঙ্গে তুলনায় নিয়ে আসে। উইজডেন সাময়িকীর বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন সাকিব। আইপিল, শ্রীলংকান ক্রিকেট লিগ, বিগব্যাশ, কাউন্ট্রি ক্রিকেট- কী খেলেননি এই ক্রিকেট তারকা। বাংলাদেশি হয়ে এ রকম অর্জন শুধু তার একারই।
ছিলেন ওয়ানডের সবয়েয়ে বেশি সময় ধরে এক নম্বর অলরাউন্ডার। সঙ্গে টেস্টেরও সেরা অলরাউন্ডারের খেতাব তার ঝুলিতে। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
জিম্বাবুয়ের হারারে মাঠে ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক হওয়া এ ক্রিকেটার বর্তমানে ১৪৭টি একদিনের ম্যাচ খেলে ৪ হাজার ১শ' ৭৩ রান সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে বোলিং করে নিয়েছেন ১৯০টি উইকেট। তার সামনে আসছে পাকিস্তান সিরিজে ২০০ উইকেটের মাইলফলক। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে অভিষেক হয় সাকিবের। ক্রিকেটের লংগার ভারসন টেস্টে এ ক্রিকেটার ৩৭ ম্যাচে ২ হাজার ৫শ' ২৯ রান সংগ্রহ করেছেন। আর বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৪০ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ৩৫ ম্যাচ খেলে ৭৫২ রান আর নিয়েছেন ৪৪ উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫