ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

বাংলাদেশের জালে উজবেকিস্তানের গোল উৎসব

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫
বাংলাদেশের জালে উজবেকিস্তানের গোল উৎসব ছবি : শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। সেই পরাজয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ দল।



রোববার (২৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফেবারিট উজবেকিস্তান যুবাদের কাছেও ৪-০ গোলে পরাজিত ক্রুইফ বাহিনী।

স্বাগতিকরা প্রথম তিনটি গোলই হজম করেছে সেট পিস থেকে। টুর্নামেন্টের আগে জার্মান গোলরক্ষক কোচ ক্রিস্টিয়ান শোয়েচলারকে উড়িয়ে এনেও লাভ হয়নি বাংলাদেশ দলের। এ পরাজয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই মূল পর্বে খেলার স্বপ্নের সলিল সমাধি রচিত হলো রায়হান-হেমন্তদের।

ম্যাচের তিন মিনিটেই এগিয়ে যায় উজবেকরা।   বাংলাদেশের বক্সের কাছে মাকসতালিভকে ফাউল করেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড আতিকুর রহমান ফাহাদ। রেফারি ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন।   ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন মিডফিল্ডার মাসারিপভ (১-০)।

১২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার রাখমানব। মাসারিপভের ক্রসে হেডে রাখমানব (২-০) বাংলাদেশের জালে বল পাঠান।

২৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলীয় তৃতীয় গোল করেন উজবেক অধিনায়ক রাখমানব (৩-০)। তার জোরালো হেড খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা।

এরপর ৪০ মিনিটে মিডফিল্ডার মাকসতালিভের গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০ তে। প্রথমার্ধের খেলা শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় উজবেকিস্তান দল।

তবে দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের মেজাজ বজায় রেখে খেলতে থাকে উজবেকিস্তান। দলটি একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যায় বাংলাদেশের শিবিরে। তবে ৫৪ মিনিটে উজবেক ফরোয়ার্ড সাগুলিয়ামব বাজে ভাবে ফাউল করার ফলে রেফারি লাল কার্ড দেখান। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় হোয়াইট উলভসরা।

এরপর দুই দলই তাদের স্বাভাবিক খেলা থেকে সরে যায়। ম্যাচে একাধিক ফাউল করে দুই দল। ৬৯ মিনিটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রায়হান হাসান ফাউল করলে রেফারি লাল কার্ড দেখান। নির্ধানিত সময় শেষে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হোয়াইট উলভস খ্যাত উজবেকিস্তান।

এ নিয়ে বাংলাদেশ যুব দল আট ম্যাচের মধ্যে টানা চার ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পেলো। এর আগে, ২০১১ সালে বাংলাদেশ ০-২ ও ০-৩ গোলে কুয়েতের কাছে হারে। এরপর ২-২ গোলে ড্র করে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ১-০ গোলে আফগানিস্তানকে হারায়। সেবছরই এশিয়ান গেমসে ০-৩ গোলে হারে উজবেকিস্তানের কাছে। একই আসরে হারে হংকংয়ের কাছে ১-২ গোলে। আর চলমান আসরে হারে সিরিয়া ও উজবেকিস্তানের কাছে।

ইনচন এশিয়ান গেমসে উজবেকদের বিপক্ষে অভিজ্ঞতাকেই রোববারের ম্যাচে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন ক্রুইফ বাহিনী। কিন্তু তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

আগামী ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলতি টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে স্বাগতিকরা মাঠে নামবে মান রক্ষার লড়াইয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।