ঢাকা: এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। গত দুই ম্যাচে শক্তিশালী সিরিয়া ও উজবেকিস্তানের কাছে মোট ৮ গোল হজম করে স্বাগতিকরা।
গত ম্যাচে সিরিয়ার কাছে পরাজয়ের ফলে চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্নের সলিল সমাধি হয় স্বাগতিকদের। এ ম্যাচটি তাই মর্যাদা রক্ষার লড়াই ছিল বাংলাদেশের জন্য। একে তো ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট জল ঘোলা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এ ম্যাচকে কেন্দ্র করে বাড়তি উত্তেজনা ছিল দর্শকদের মাঝে।
একটি জয়ের জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিল সবাই। আর যুবাদের পা থেকে অন্তত একটি গোল স্বচক্ষে দেখার খায়েশও ছিল অনেকেরই। কারণ পুরো আসরে একটিও গোল নেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলের। কিন্তু কোন আশাই পূরণ হয়নি।
সেই ১৯৯৯ সাল থেকে ভারত জাতীয় ফুটবল দলের বিপক্ষে জয় নেই বাংলাদেশের। এ ম্যাচে সেই জয়হীনতার পরিসংখ্যানকে আরো বেগবান করলো যুবারা!
ম্যাচের ১৬ মিনিটে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সজীব বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে জোড়ালো আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন। কিন্তু ভারতীয় গোলরক্ষক আরন্দির বল গ্রিপে নিয়ে গোলবঞ্চিত করেন লাল-সবুজদের। প্রথমার্ধ শেষ হবার পরই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। প্রায় ৩৩ মিনিট পর বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রক্রিয়া সচল হয়।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভাষ্য অনুযায়ী ম্যাচ বন্ধ ছিলো প্রায় ২১ মিনিট। বাফুফে সূত্র জানায় জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণেই মূলত স্টেডিয়ামে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়।
৮২ মিনিটে ডি বক্সের খুব কাছে হেমন্তকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ভারতীয় ডিফেন্ডার সন্দেশ। কিন্তু ফ্রি কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ডি ক্রুইফের শিষ্যরা। শেষ সময়ে আরো বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
ভারতের বিপক্ষে এ নিয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৫ বার। বাংলাদেশের অর্জন একটি জয়। বাকি চার ম্যাচের মধ্যে দুটি জয় ভারতের আর বাকি দুটি ম্যাচ ড্র। ওদিকে বাংলাদেশের দুই গোলের বিপরীতে ভারতের গোল সংখ্যা ৫!
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ ২০১৫