ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল দলের একমাত্র কোচ ডি ক্রুইফ যিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দলটির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি অনেকটাই সফল।
এরপর খানিকটা বিরতি দিয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে যুবাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে এবার ভয়াবহ খারাপ ফলাফল অর্জন করে দলটি। তিন ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি তারা।
সময় শেষ তাই এবার উড়াল দেবার পালা। ক্রুইফের নির্ধারিত সময় শেষে আবারো ফিরে যাচ্ছেন নিজ দেশ নেদারল্যান্ডসে। শুক্রবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করার কথা ক্রুইফ ও জার্মান গোলরক্ষক কোচ ক্রিস্টিয়ান। কিন্তু আবার কবে দেখা মিলবে ক্রুইফের?
এ প্রশ্নের উত্তর জানতেই গণমাধ্যম কর্মীরা ভিড় করে বাফুফে ভবনে। এ সম্পর্কে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানালেন, ক্রুইফ ফিরে যাচ্ছেন। তবে বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ের আগে (জুন মাসে) আবারো ফিরে আসবেন। জুনে দুটি ম্যাচ ও সেপ্টেম্বরে দুটি ম্যাচ রয়েছে। ক্রুইফের সাথে আমাদের বর্তমান অবস্থা এখন বেশ ভালো। তিনি খণ্ডকালীন কোচ হিসেবেই কাজ করবেন। '
তিনি আরো বলেন, গোলরক্ষক কোচ শোয়েচলারের সাথে কথা হয়েছে। তিনিও খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে কাজ করবেন।
আর লোডভিক ডি ক্রুইফ জানালেন, 'আমাদের একটা পুরোনো ইতিহাস আছে। আমি মনে করি, এখানে আমি খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করলেও বড় কোন ধরণের সমস্যা হবে না। কেননা জাতীয় দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই আমার পরিচিত। এছাড়া টিটুর (সহকারী কোচ) সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে। ’
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে দায়িত্ব নিয়ে তেমন কোন সাফল্য দেখাতে পারেননি গোলরক্ষক কোচ শোয়েচলার। তবুও তার প্রতি সন্তুষ্ট বাফুফে কর্তারা। তার কাজের ধরণ দেখে পছন্দ হয়েছে কর্তৃপক্ষের। তাই পরবর্তীতে সিলেট বিকেএসপির দায়িত্ব দেয়া হতে পারে তাকে। গোলরক্ষক কোচ মনে করেন বাংলাদেশের ছেলেদের মধ্যে যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। তবে মূল সমস্যা কোচিংয়ে।
গোলরক্ষক কোচ শোয়েলচার জানালেন, ‘আমি বিকেএসপিতে গিয়েছি। সেখানে ৭ জন ভালোমানের গোলরক্ষক রয়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ পায়নি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল ২০১৫