ঢাকা: এ এক সুবর্ণ সুযোগ! বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের ফরম্যাট পরিবর্তনের ফলে অধিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশসহ কম ৠাংকিংয়ের দেশগুলো। এর ফলে শক্তিশালী দেশগুলোর বিপক্ষে বেশি সংখ্যক ম্যাচে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এবারের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই প্রকৃয়া একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেলেও নতুন কাঠামো অনুযায়ী মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনের আরেকটি সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। সব মিলিয়ে এশিয়ার জায়ান্ট দলগুলোর সঙ্গে একই সঙ্গে খেলার সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছে লাল-সবুজের পতাকাবাহীরা।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী এখন থেকে এশিয়ান কাপ এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলাগুলো একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। আর বাছাইপর্বে সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ এশিয়ার সেরা ৩৪ দেশের মধ্যে থাকার ফলেই এ সুবর্ণ সুযোগ পেল বাংলাদেশ। বর্তমানে ৪৭ দেশ এএফসির সদস্য। একমাত্র সহযোগী সদস্য নর্দান মারিয়ানা এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে খেলতে পারছে না। বাকি ৪৬ দেশের সবাই নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে ৠাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা ১২ দেশকে প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে হবে।
এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য লড়বে মোট ৪০ টি দেশ। লড়াই হবে ৮ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে। ফলে প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও ৮ গ্রুপের সেরা রানার্সআপ ৪ দলসহ মোট ১২টি দেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য নির্বাচিত হবে।
আর দেশগুলো সরাসরি এশিয়ান কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। বাকি ২৮ দেশের স্বপ্নের সলিল সমাধি রচিত হবে না। ফলে তারা লড়বে এশিয়ান কাপের মূলপর্বের জন্য।
২৮ দেশের মধ্যে ৠাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা শীর্ষ ১৬ দেশ সরাসরি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে খেলবে। আর বাকি ১২ দেশের মধ্য থেকে প্লে-অফের ম্যাচের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে ৮ দেশ। এ পর্বে উত্তীর্ণ ৮ দেশ যোগ দেবে ৠাংকিংয়ের ভিত্তিতে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের জন্য মনোনীত ১৬ দেশের সঙ্গে। ফলে পরবর্তীতে এ ২৪ দেশই এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের লড়াইয়ে নামবে।
প্রথমেই দেশগুলোকে ৬ গ্রুপে বিভক্ত করা হবে। গ্রুপপর্ব শেষে প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ১২ দেশ এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এ ১২ দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য মনোনীত ১২ দেশ। যারা আগেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য নির্বাচিত হওয়ার ফলে সরাসরি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যত অর্জন করেছে। এশিয়ান কাপের মূল আসর হবে ২৪ দেশ নিয়েই।
এ সম্পর্কে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানালেন, ‘২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা দেখেছিলাম ভিআইপি গ্যালারিতে বসে। ওই আসরে বাংলাদেশ ছিল না। আশা করি ২০১৯ সালে আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটাও দেখব। তবে আশা করছি সেই আসরে অবশ্যই বাংলাদেশ থাকবে। ’
৮ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ৪০ দেশের বাছাইয়ের প্রকৃয়া শুরু হচ্ছে এ বছরের জুন মাস থেকে। জুনের ১১ ও ১৬ তারিখ হোম এন্ড এ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি ম্যাচ খেলবে বিভিন্ন গ্রুপের দেশগুলো। গ্রুপিং ও ড্র অনুষ্ঠিত না হওয়ার ফলে দলগুলোর নাম এখন জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, ৪ এপ্রিল ২০১৫