ঢাকা: মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ঘরোয় ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। আসরে অংশ গ্রহণকারী দলগুলো ছাড়াও খেলা পরিচালনাকারী রেফারিগণও মূখ্য ভূমিকা পালন করেন প্রতিটি ম্যাচেই।
এই লিগের খেলা পরিচালনা করবেন দেশের ৫০ রেফারি। তাদের নিয়েই রবি ও সোমবার বাফুফে ভবনের কনফারেন্স রুমে এক সেমিনার আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারে লজ অব দ্যা গেমস সহ রেফারিদের ফিটনেস, ম্যাচ প্রিপারেশন, রেগুলেশনের নতুন পরিবর্তন সহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয় ও দিকনির্দশনা প্রদান করা হয়।
এ সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি বাদল রায়, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ এবং বাফুফে রেফারিজ কমিটির সদস্যরা।
কাজী সালাউদ্দিন রেফারিদের অভয় দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশী রেফারিরা লিগে বা টুর্নামেন্টে ডি বক্সের মধ্যে যে সকল ফাউল ধরেন না, সেই ফাউলগুলোই ধরেন বিদেশী রেফারিরা। তাই বলে আমাদের রেফারিরা মোটেই অদক্ষ নয়। তাদের কোন দোষ নেই এ ক্ষেত্রে। আসলে তারা লিগ বা টুর্নামেন্টের খেলাগুলোতে বিভিন্ন বড় ক্লাবগুলোর কাছে প্রচন্ড চাপের মুখে থাকেন। ফলে সেটপিস সংক্রান্ত ফাউলগুলো ধরেন না। বড় ক্লাবের খেলোয়াড়রা এ ধরণের খেলায় অভ্যস্ত হয়ে যায়। '
তিনি আরো বলেন, 'ঐ সকল খেলোয়াড়গণ যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলেন, তখন অভ্যাসবশত সেই ফাউলগুলোই করেন। আর বিদেশী রেফারি সেই ফাউলে ছাড় প্রদাণ করেন না। লিগে বা টুর্নামেন্টের খেলার সময় যদি দেশীয় রেফারিরা নির্ভয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং যথাযথ ফাউলগুলো ধরেন ও শাস্তি প্রদান করেন তাহলে খেলোয়াড়রা সতর্ক হয়ে খেলবে। তারা ফাউল করে খেলত না। কার্ডও পেত না। '
'বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে বড় ক্লাবগুলোর সহযোগিতা ও ভূমিকা রাখতে হবে। বড় ক্লাবগুলো যদি রেফারির সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন না করে তাহলে দেশের ফুটবলের জন্য তা অত্যন্ত মঙ্গলজনক হবে। সত্যি ফুটবলারদের অনেক কিছুই শেখার আছে । আমি চাই রেফারিরা যেন নির্ভয়ে লিগের খেলা পরিচালনা করেন। ’ এই বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
ইয়া/এমএমএম