ঢাকা: চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পোর্তোর বিপক্ষে অঘটনের শিকার হয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। পোর্তোর ঘরের মাঠ স্তেদিও দো ড্রাগাওয়ে প্রথম লেগের ম্যাচে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারে।
এরপরই জার্মানির চ্যাম্পিয়নদের সমালোচনায় মেতে উঠেছে বিশ্ব ফুটবল। তবে, স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার কোচ লুইস এনরিক পাশে দাঁড়িয়েছেন জার্মান জায়ান্ট দলটি আর দলটির কোচ পেপ গার্দিওলার পাশে।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সার কোচ থাকাকালীন গার্দিওলা দলকে পাইয়ে দিয়েছিলেন ১৪টি শিরোপা। ২৪৭টি ম্যাচের মধ্যে কাতালানদের জিতিয়েছিলেন ১৭৯টি ম্যাচ। তার অধীনে বার্সা ৪৭টি ম্যাচে ড্র করার পাশাপাশি মাত্র ২১টি ম্যাচে হেরেছে। ৭২.৪৭ শতাংশ সাফল্য নিয়ে বার্সা থেকে বায়ার্নে যোগ দেন গার্দিওলা।
দীর্ঘ সময়ের বন্ধু আর সতীর্থ গার্দিওলার পাশে দাঁড়িয়ে এনরিক বলেন, পেপ বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের সেরা কোচ। আমার মনে হয় সে কোচ হিসেবে এ সময় এক নম্বর স্থানটিতেই রয়েছে। আর তার মতো মানুষের একটি দিন খারাপ যেতেই পারে। তাই বলে এই নয় যে, পেপের সব কিছুর শেষ দেখে ফেলবেন আপনারা।
বার্সা কোচ আরও যোগ করেন, আমি পেপকে এক নম্বর কোচ হিসেবেই দেখছি। কারণ, তার মতো অন্য কোনো কোচ নিজের শিষ্যদের এতোটা অ্যাটাকিং ফুটবল খেলানোর পথ বাতলে দিতে পারে না। সে বিশ্বের যে কোনো ফুটবল দলকে এক নিমিষেই পাল্টে দিতে সক্ষম।
খেলোয়াড়ি জীবনে পেপ গার্দিওলা বিভিন্ন ক্লাবে ৩৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন। স্পেনের জার্সি গায়ে এনরিকের পাশে খেলেছেন ৪৭টি ম্যাচ। বায়ার্নের কোচ হিসেবে দলকে জিতিয়েছেন বুন্দেসলিগা, ডিএফবি পোকাল শিরোপা, উয়েফা সুপার কাপ আর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।
শুধু তাই নয়, গার্দিওলা দুইবার করে পেয়েছেন ডন ব্যালন অ্যাওয়ার্ড, উয়েফার বর্ষসেরা কোচ। একটানা চারবার পেয়েছেন (২০০৯ থেকে ২০১২) লা লিগার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার আর একবার জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল ২০১৫
এমআর