ঢাকা, রবিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

খেলা

পরাজয়ের স্বাদ পেল শেখ রাসেল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৯, এপ্রিল ২০, ২০১৫
পরাজয়ের স্বাদ পেল শেখ রাসেল ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলমান মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ক্লাব ফুটবলের জায়ান্ট শেখ রাসেলকে ২-১ গোলে পরাজিত করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।

ম্যাচে মুক্তির হয়ে গোল করেন এনামুল হক ও কামারা সার্বা। আর শেখ রাসেলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পল এমিল।

এই জয়ে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে মুক্তিযোদ্ধা। আর সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফলে শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে শেখ জামাল। আর ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৫ম অবস্থানেই থাকলো শেখ রাসেল।  

ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো মুক্তিযোদ্ধা দলটি। গোলের জন্য দলটি মরিয়া হয়ে ওঠে । তবে কাঙ্খিত গোল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ২১ মিনিট। এসময় রাসেলের বক্সে ঢুকে মুক্তি অধিনায়ক এনামুল হককে বল দেন ফরোয়ার্ড রুকনুজ্জামান কাঞ্চন। এনামুল ডান পায়ে বল রিসিভ করে বা পায়ের চমৎকার শটে রাসেলের জালে কাঁপিয়ে দেয় (১-০)।

২৫ মিনিটে ফরোয়ার্ডের ভুলে সমতায় ফেরার সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় শেখ রাসেলের। ডান প্রান্ত থেকে রাসেল অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরী বল দেন সতীর্থ পল এমিলকে। কিন্তু বল জালে না পাঠিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি।

৩১ মিনিটে সমতায় ফেরে রাসেল। বা প্রান্ত থেকে জাহিদ হোসাইনের ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রাসেলের ক্যামেরুনিয়ান ফরোয়ার্ড পল এমিল (১-১)। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় আর কোন গোল না হওয়ার ফলে ১-১ গোলের সমতায়ই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পরে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত রাসেলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার কারণে গোলে বঞ্চিত হয় দলটি। কারণ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রাসেলের মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট। ৪৭ মিনিটে মুক্তির বিদেশী খেলোয়াড় ফেরকি জেইদাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন হেমন্ত ভিনসেন্ট। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় শেখ রাসেল।

ওদিকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়ে গোল তুলে নেয় মুক্তিযোদ্ধা। ৬৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মুক্তিযোদ্ধা। ডান প্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার সাইদুল সতীর্থকে উদ্দেশ্য করে ক্রস দেন। রাসেলের বক্সে বল পেয়ে জোড়ালো শটে  বল জালে পাঠান কামারা সার্বা (২-১)।

এরপরে শেখ রাসেলের বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও একটিও গোলের মুখ দেখেনি। ফলে নির্ধারিত সময় শেষে ২-১ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডস খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শেখ রাসেলের কোচ দ্রাগান দুকানোভিচ জানালের, ' হেমন্তের লাল কার্ডটি সব শেষ করে দিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে হেমন্তকে কার্ড দেখানোটা রেফারির সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলনা। এছাড়া ম্যাচে দুটি বাজে গোল খেয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যা হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের সামর্থ্য রয়েছে সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো করার। '

আর মুক্তির কোচ আবু ইউসুফ বলেন, 'ছেলেরা ভালো খেলেছে। ভালো খেলার ইচ্ছাই তাদের জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। '
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।