ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

একগাদা অফার নিয়ে দেশে ফিরেছেন সাবিনা

ইয়াসির উবাইদ জিকো, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
একগাদা অফার নিয়ে দেশে ফিরেছেন সাবিনা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই তিনি ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়। আর সেই সাথে ৩৭ গোল! মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ক্লাব মালদ্বীপস ওম্যান্স ফুটসাল ফিয়েস্তা নামক ফুটবল টুর্নামেন্টে ছোটখাট তান্ডব চালিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।



বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশের মাটিতে খেলতে গিয়ে বেশ শোরগোল তুলেছেন তিনি। তাকে পেতে এখন মালদ্বীপের ক্লাবগুলো মরিয়া। তবে কোন দলে খেলছেন এ বিষয়ে এখনই কিছু নিশ্চিত করেননি। মঙ্গলবার টুর্নামেন্ট শেষে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন সাবিনা খাতুন।

'মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব এই ফুটসাল টুর্নামেন্টে গত আসরে রানার্সআপ হয়েছিল। এবার আমি নিজের ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করাতে চাই। হতে চাই টুর্নামেন্টের শীর্ষ গোলদাতা। ' দেশ ছাড়ার আগে ঠিক এ ধরণের ইচ্ছা পোষণ করে মালদ্বীপে ফুটসাল টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিলেন সাবিনা খাতুন।

ইচ্ছার কতটুকু বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেলেন মালদ্বীপে? এ সম্পর্কে সাবিনা খাতুন বলেন, 'সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। গতবারের মতো এবারও মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব রানার্সআপ হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পেরে ভালো লেগেছে। '

আপনার এ ধরণের ক্রীড়া নৈপুণ্যে ক্লাবগুলো মুগ্ধ হয়নি? সাবিনা খাতুন বলেন, 'হাঁ হয়েছে। মালদ্বীপের তিনটি ক্লাব আমাকে তাদের হয়ে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি ১২শ ডলার পর্যন্ত অফার দিয়েছে (এবারের পারিশ্রমিকের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন)। তবে এখনই কিছু ঠিক হয়নি। বাফুফের সাথে কথা বলেই তাদের জানাবো। আগামী মাস থেকেই দেশটিতে মহিলা লিগ শুরু হচ্ছে। '

আপনার মাধ্যমে একটি সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে গেল বাংলাদেশের নারীদের জন্য। আগামীবার কি নতুন কেউ যাচ্ছে মালদ্বীপ? সাবিনা বলেন, 'পুলিশ ক্লাবের সাথে যদি দ্বিতীয়বারের মতো চুক্তিবদ্ধ হই তাহলে কমপক্ষে দুইজন ফুটবলার মালদ্বীপে খেলার সুযোগ পাবে। '

এ সকল প্রাপ্তির মধ্যে কোন বিষয়ে অপূর্ণতা আছে? ‘হ্যাঁ, ৬ ম্যাচ খেলে ৩৭ গোল করেছি। ৫ ম্যাচেই হয়েছি ম্যাচসেরা। তবে আক্ষেপ একটাই, ফাইনালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারিনি। কারণ প্রতিপক্ষ দলে তিনজন বিদেশী খেলেছে। আর আমাদের দলে আমি একাই বিদেশী হিসেবে খেলেছি। ’

মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা টুর্নামেন্টের ফাইনালে গত ১৮ এপ্রিল রাতে মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাব ৬-২ গোলে হেরে যায় প্রতিপক্ষ ইমেগ্রেশন ক্লাবের কাছে। ফাইনালে সাবিনা একটি গোল করলেও তা দলের পরাজয় এড়াতে যথেষ্ট ছিল না।

বাংলাদেশে কি ফুটসাল খেলা হওয়া উচিত? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওখানে ফুটসাল খেলে মনে হয়েছে আমাদের দেশেও নিয়মিত এ ধরনের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। বালুতে এ খেলা খেললে খেলোয়াড়দের স্কিল অনেক বেড়ে যায়। ’

উল্লেখ্য, বিদেশী কোন ক্লাবে খেলা প্রথম বাংলাদেশী পুরুষ ফুটবলার হলেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। তিনি ১৯৭৫ সালের হংকংয়ের এফসি ক্যারোলিনে খেলেছিলেন। এর ৪০ বছর পর বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে বিদেশী কোন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ২১ এপ্রিল, ২০১৫
ইয়া/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।