ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

রোনালদোদের বিদায় করে ফাইনালে তেভেজরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
রোনালদোদের বিদায় করে ফাইনালে তেভেজরা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইউরোপ সেরার লড়াই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নেমেছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ আর ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে বিদায় করে চলতি আসরের ফাইনালের টিকিট করে নিয়েছে জুভেন্টাস।

এ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করা জুভিরা ৩-২ এগ্রিগেটে জয় লাভ করে।

জুভেন্টাসের ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নামে কার্লোস আনচেলত্তির রিয়াল। ৪-৩-৩ ফরমেশনে রিয়ালের হয়ে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন ইকার ক্যাসিয়াস, কারভাজাল, সার্জিও রামোস, রাফায়েল ভারানে, মার্সেলো, জেমস রদ্রিগেজ, টনি ক্রুস, ইসকো, গ্যারেথ বেল, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর করিম বেনজেমা। অপরদিকে আতিথ্য নেওয়া জুভিদের হয়ে মাঠে নামনে ৪-৩-১-২ ফরমেশনে খেলা বুফন, লিচটশেইনার, বনুচ্চি, চিয়েলিনি, এভরা, মারচিশিয়ো, আন্দ্রে পিরলো, পল পগবা, ভিদাল, কার্লোস তেভেজ আর মোরাতা।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে বেনজেমার সুযোগ নষ্ট না হলে লিড নিতে পারতো রিয়াল। ফ্রান্স তারকার ফাঁকা থেকে নেওয়া শটটি গোলবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। খেলার ১৪ মিনিটের মাথায় জুভিদের তারকা ভিদালের একটি জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক ক্যাসিয়াস।

ম্যাচের ২৩তম মিনিটে লিড নেয় স্বাগতিকরা। রদ্রিগেজকে জুভেন্টাসের ডি-বক্সে ফাউল করায় ম্যাচের দায়িত্বে থাকা সুইডিশ রেফারি এরিকসন পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সর্বশেষ লা লিগার ম্যাচে রিয়ালের পর্তুগিজ তারকা রোনালদো পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করলেও এ ম্যাচে ঠিকই দলের পেনাল্টি নিতে এসে গোল আদায় করে নেন। ফলে, ১-০ তে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।

সর্বশেষ ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা জুভেন্টাস প্রথমার্ধের ৩০ ও ৪০ মিনিটের মাথায় আক্রমণ করে বসে। ৩৯তম মিনিটে রোনালদোর বাঁকানো শটটি গোলবারের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর পরের মিনিটে বেনজেমার শটটি কর্ণারের মাধ্যমে প্রতিহত করেন অতিথি গোলরক্ষক বুফন।

প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে আর সমান এগ্রিগেটে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিক রিয়াল।

বিরতির পর ম্যাচের ৫২ মিনিটের মাথায় জুভি তারকা মারচিশিয়োর ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া একটি শট রিয়ালের গোলবারের পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে মাঝমাঠে বেশ দারুণ খেলতে থাকে প্রথম লেগে নিজেদের মাটিতে ২-১ গোলে জেতা এ ম্যাচের অতিথি দলটি।

রিয়াল আর জুভেন্টাস একে অপরের বিপক্ষে ১৭ বার মুখোমুখি হয়েছিল। রিয়ালের ঘরের মাঠে সাতবারের মুখোমুখি দেখায় ৫ বারই জিতেছিল স্প্যানিশরা। আর প্রতিটি ম্যাচেই ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে রিয়াল। তবে, এ ম্যাচে সেই রেকর্ডটি ধরে রাখতে পারেনি লসব্লাঙ্কসরা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় ম্যাচের রেজাল্ট দাঁড়ায় ১-১ গোল।

ডি-বক্সের বাইরে থেকে উঠে আসা বলে হেড করেন জুভি তারকা পল পগবা। সেখান থেকে ডি-বক্সের জটলার মধ্যে বল পান মোরাতা। জোরালো শটে ক্যাসিয়াসকে পরাস্ত করে গোল আদায় করে দলকে সমতায় ফেরান মোরাতা।

ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ এসেছিল রিয়ালের। মার্সেলো আর বেলের একটি প্রচেষ্টায় গোলবার ঘেষে বল বাইরে চলে যায়। ৬৭ মিনিটের মাথায় আনচেলত্তি মাঠ থেকে তুলে নেন বেনজেমাকে। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন হার্নান্দেজ। এরপর রদ্রিগেজের একটি শট গোলবারের একটু উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

৭০ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে ওয়ানটাচে বল বানিয়ে নিয়ে রিয়ালের ডি-বক্সে আক্রমণ শানে জুভিরা। ভিদালের শট রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক ক্যাসিয়াস। এরপরেই রিয়াল যেন গোলের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে উঠে। একের পর এক আক্রমণ করে জুভেন্টাসের রক্ষনকে ব্যস্ত রাখে স্বাগতিকরা। ৭৫ মিনিটের মাথায় বেল হেড করলে গোলবারের উপরে থাকা জালে বল জড়িয়ে যায়।

ম্যাচের ৮৮ মিনিটের মাথায় পল পগবার একটি শট ক্যাসিয়াস রুখে দেন। ৮৯ মিনিটের বেলের বাড়ানো ক্রসে পা ছোঁয়ালেই গোল পেতেন হার্নান্দেজ।

ম্যাচের বাকি সময়টা আপ্রাণ চেষ্টা করেও নতুন করে আর কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেনি রিয়াল। ফলে, গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্সদের বিদায় করে ফাইনালের টিকিট করে নেয় ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। বার্সেলোনার বিপক্ষে ফাইনালের মাঠে মুখোমুখি হবে জুভিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, ১৪ মে ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।