ঢাকা: দিনটি ছিলো মোহামেডানময়। ম্যাচের শুরুতেই 'জায়ান্ট কিলার' খ্যাত প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জের উপর তাণ্ডব চালায় দলটি।
ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে মোহামেডানের বিদেশী ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। এটি চলমান লিগের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক আর বাঙ্গুরার প্রথম হ্যাটট্রিক। সেই সাথে ব্যাক্তিগত ৮ গোল নিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার স্থানটি দখল করে নিয়েছে বাঙ্গুরা।
এ জয়ের ফলে মুক্তিযোদ্ধা, আবাহনী ও শেখ রাসেলকে টপকে ২য় অবস্থানে উঠে এসেছে মোহামেডান। ৯ ম্যাচে সাদা-কালোদের সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট। আর ৯ ম্যাচে পরাজিত রহমতগঞ্জের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট।

শনিবার মান্যবর প্রিমিয়ার লিগে, খেলার ২৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থ মিডফিল্ডার জুয়েল রানার হেড রিসিভ করে ভলি শটে রহমতগঞ্জের জালে পাঠান মোহামেডানের গিনির ফরোয়ার্ড বাঙ্গুরা (১-০)। এর দু’মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুন করে সাদা-কালো শিবির। এ সময় বাঁ প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার ইব্রাহিমের ক্রসে মাথা ছুইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বাঙ্গুরা (২-০)।
আর ৩০ মিনিটে অরুপ বৈদ্যের কাছ থেকে বল পেয়ে বা প্রান্ত দিয়ে অসাধারণ শটে গোল করেন জুয়েল রানা (৩-০)।
তবে ৩১ মিনিটে ব্যবধান কমানোর প্রথম সুযোগটা মিস করে রহমতগঞ্জ। থ্রো থেকে বল পেয়ে মোহামেডানের বক্সের ভেতর শট নেন মিডফিল্ডার ইয়াসিন। কিন্তু তার শট মোহামেডানের ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফিরে আসে।
এরপরই রহমতগঞ্জের কোচ কামাল আহমেদ বাবু সাথে রেফারী জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বচসা হলে তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারী। এতে প্রায় ৮ মিনিট খেলা বন্ধ ছিলো। প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সাদা-কালোরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোল ক্ষুধা এতটুকু কমেনি মোহামেডানের। ৬১ মিনিটে রহমতগঞ্জের বক্সে ঢুকে ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজের শট
ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলে শট নেন মিডফিল্ডার জনি। কিন্তু তার শটও ফিরে আসে।

৭৬ মিনিটে অধিনায়ক অরুপের ক্রসে বক্সে বল পেয়ে হেড দিয়ে মোহামেডানের চতুর্থ গোল করেন তৌহিদুল আলম সবুজ (৪-০)।
আর ৮৭ মিনিটে রহমতগঞ্জের জালে শেষ পেরেক ঠুঁকেন ম্যাচের নায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরা (৫-০)।
আগামীকাল রবিবার (১৭ মে) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দিনের প্রথম ম্যাচে বিকাল সোয়া চারটায় শেখ রাসেলের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী। দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় টিম বিজেএমসির প্রতিপক্ষ ফরাশগঞ্জ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস