ঢাকা: 'ভাই গোলটা দিবেন?' টেলিভিশনের জনপ্রিয় একটি বিজ্ঞাপনের সংলাপ এটি। এ সংলাপটির সাথে যেন মিলে যাচ্ছে আরেকটি কথা 'ভাই হকির দলবদল শেষ করবেন?'একে তো হকির বেহাল দশা।
জাতীয় হকি দলের অধিনায়ক কৃষ্ণ কুমার এ সম্পর্কে বলেন, 'এভাবে জীবন চলে না। স্কুল হকি টুর্নামেন্ট করে কি লাভ বলুন। দেখুন লিগ নেই, ওরা কোথায় খেলবে। এমনকি ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক খেলাও নেই। এ রকম চলতে থাকলে অন্য পেশা বেছে নিতে হবে। '
এর মধ্যে ২৪-২৬ মে হকির দলবদলের তারিখ ঘোষণা করেছে হকি ফেডারেশন। অথচ এখনও হকিতে অচলাবস্থা নিরসনের কোন পথ খুঁজে পাচ্ছে না কেউ। ওদিকে বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর (মোহামেডান, মেরিনার্স, ওয়ারী, ওয়ান্ডারার্স, বাংলাদেশ স্পোর্টিং) এখন পর্যন্ত দলগঠনের কোন প্রক্রিয়া শুরুই করেনি। এমনকি গত প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেয়া দলগুলোরও আগ্রহ নেই দলবদলে।
বিদ্রোহী দলগুলোর সাফ কথা, 'হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির পুনর্গঠন' আর আবাহনী ও ঊষা ক্লাবের কর্মকর্তাদের শর্ত, 'দলবদলে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। '
একমাত্র আশার আলো যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। গত ১৩ মে সব ক্লাবগুলোর সাথে তিনি বসেছিলেন সমাধানের খোঁজে। তবে সমাধান মেলেনি। ঐ বৈঠকে ক্রীড়া উপমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কায়সার সিনহা ও দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলদের নিয়ে পরবর্তীতে সভায় বসবেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, হকি সমস্যা অচিরেই কেটে যাবে এবং সবদলের অংশগ্রহণেই লিগ অনুষ্ঠিত হবে।
সময় যাচ্ছে, তবে এখনও কোন সুবাতাস বইছে না হকি অঙ্গনে। নীল টার্ফে খেলতে মুখিয়ে আছে কৃষ্ণ-চয়নরা। দলবদলের জন্য হাতে সময় বাকী আছে আর মাত্র ৪ দিন। হয়তো আবারো পিছিয়ে যাবে দলবদল! হয়তো পিছিয়ে গিয়েও সব দলের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে লিগ। হয়তো আবাবো কৃষ্ণ-চয়ন-মিমোদের স্টিকের ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পাবে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ১৯ মে ২০১৫
ইয়া/এমআর