ঢাকা: যে কোন মূল্যে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল দু’দল। কারণ লড়াইটা ছিল ঐতিহ্যের।
ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জসিম উদ্দিন জোসির শিষ্যরা। এ জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে মোহামেডানের সংগ্রহ ২০ পয়েণ্ট, অবস্থান ২য়। আর সমান সংখ্যক ম্যাচে আবাহণীর সংগ্রহ ১৭, অবস্থান ৪। তবে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেই পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব। কারণ ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ৩য় অবস্থানে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাঠে চলছে শেখ রাসেল বনাম রহমতগঞ্জের ম্যাচটি।
ম্যাচে প্রথম সুযোগ পায় সাদা-কালো খ্যাত ঢাকা মোহামেডান। ১২ মিনিটের সময় বা প্রান্ত থেকে ইব্রাহিমের কর্ণারে বক্সে মধ্যে বল পেলেও হেড করতে ব্যর্থ হন তৌহিদুল আলম সবুজ। ১৬ মিনিটে সুযোগ পায় আবাহনীও, কিন্তু ওসাই মরিসনের শট মোহামেডানের গোলরক্ষক আশরাফুল হক রানা ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে ওয়াহেদ ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে শট নিলেও গোলরক্ষক এ যাত্রাও দলকে রক্ষা করেন।

আর ৪২ মিনিটে মোহামেডানের নিশ্চিত গোল আটকে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। ডান প্রান্ত থেকে জুয়েল রানার ক্রসে জোড়ালো হেড করেন মোহামেডানের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। কিন্তু তার হেডটি দক্ষতার সাথে লুফে নেয় আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়াউর। তাই প্রথমার্ধ শেষে ম্যাচটি ছিল গোলশূণ্য।
দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে মোহামেডানের বক্সে ঢুকে পড়েন আবাহনীর ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড ওসেই মরিসন। বক্সের মধ্যে থেকে তার শক্তিশালী শটটি বারে লেগে ফিরে আসে। ৫৪ মিনিটে আবারো ব্যর্থ হয় মোহামেডান। এ সময় বক্সে ঢুকে জুয়েল রানার শট ফিরিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়া। ফিরতি বলে মিডফিল্ডার ইব্রাহিমের শট বক্সের মধ্যে ফিরিয়ে দেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ওবম হেনরী ফেলিক্স।
৬৭ মিনিটে প্রায় মাঝ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন সাদা-কালো শিবিরের মিডফিল্ডার জুয়েল রানা। কিন্তু বল
খুঁজে পায়নি জাল।

৮১ মিনিটে মোহামেডানের একটি হ্যান্ডবলের আবেদনে সায় না দিয়ে কর্নারের নির্দেশ প্রদান করে রেফারি জসিম উদ্দিন। তবে এবারও ব্যবধান বাড়ানোর একটি সুবর্ন সুযোগ মিস করে মোহামেডান। উড়ন্ত বলে ডি বক্সে থাকা মোহামডোনের ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা মাথা ছোঁয়ালেই গোল হয়ে যেত।
তবে ম্যাচের অন্তীম মুহুর্তে গোল করেন মোহামেডানের মিডফিল্ডার মো: ইব্রাহিম। এ সময় আবাহনীর ডিফেন্ডার হেনরী ফেলিক্সের ভুল পাসে বল পেয়ে যায় মিডফিল্ডার ইব্রাহিম। তিনি কোন ভুল না করে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে গোল করেন (১-০)।
খেলার বাকি সময় আর কোন গোল না শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাদা-কালো জার্সিধারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস