ঢাকা: বয়স হয়ে গেছে ৩৬। এখনো মধ্যমাঠের অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে তার জুড়ি নেই।
ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় এসি মিলানের হয়ে কাটিয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০১১। ওই সময়ে দু’বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়ের স্বাদ নেন পিরলো। পরে ২০১১-১২ মৌসুমে মিলান ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান ইতালির হয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী এ মিডফিল্ডার।
পিরলো তার সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে আমেরিকার মেজর লিগ সকারকেই এগিয়ে রাখছেন। ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিততে পারলে ইতালিতে জুভেন্টাসই হবে আমার শেষ ক্লাব। এরপর অন্য কোনো দেশের ফুটবল লিগে খেলতে চাই। এমএলএস’র যেকোনো ক্লাবে হয়তো আমাকে দেখা যাবে। ’
ইতালিয়ান তারকা আরও বলেন, ‘ইউরোপের ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের আসরে এটা আমার চতুর্থ ফাইনাল। এবার বার্সেলোনা ফেভারিট থাকবে। কিন্তু, ফুটবলে যেকোনো কিছু্ই ঘটতে পারে। ২০০৫ সালে এসি মিলানের হয়ে ফাইনাল ম্যাচে হারের দুঃস্মৃতিটা ক্যারিয়ারের খারাপ মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম। ’
বার্লিনে ০৬ মে (শনিবার) চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সার মুখোমুখি হবে জুভিরা। বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪-০৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল জুভেন্টাস। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অল-রেডসরা। জেরার্ড-আলোনসোদের নৈপুণ্যে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ ব্যবধানে জিতে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা উল্লাসে মাতে ইংলিশ জায়ান্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘন্টা, জুন ০৫, ২০১৫
আরএম