ঢাকা: বার্সেলোনার হয়ে মাঠে নামতে পারছেন না পর্তুগালের তারকা সাবেক ফুটবলার লুইস ফিগো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের আগের দিন যে প্রীতি ম্যাচটি হয়ে থাকে তাতে এবারও নেই বার্সার সাবেক তারকা ফিগো।
৪২ বছর বয়সী ফিগোকে কাতালানদের থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বার্সার সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে উয়েফা ফিগোর নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
২০০৫ সালের পর থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুই ফাইনালিস্টদের নিয়ে একটি দল গড়ে। আর বাকি দলটি গড়া হয় বিশ্ব একাদশ নামে। এবারের ফাইনালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। ফাইনাল ম্যাচের আগের দিন নিয়ম অনুযায়ী বার্সা আর জুভিদের সাবেকদের নিয়ে গড়া দলটিতে ফিগোকে রাখলেও পরে তার নাম কেটে দেওয়া হয় কাতালান সমর্থকদের বেঁকে বসার কারণে।
তবে, কেন লুইস ফিগোকে বার্সা সমর্থকরা পছন্দ করছেন না? এর ব্যাখ্যা দিয়েছে উয়েফা। ২০০০ সালে বার্সা ছেড়ে ফিগো নাম লেখায় কাতালানদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদে। ১৫ বছর আগের এ ঘটনার পর থেকে বার্সার সমর্থকরা ফিগোকে ক্ষমা করতে পারেন নি।

১৯৯৫ সালে কাতালান ক্লাবটিতে নাম লিখিয়েছিলেন ফিগো। দুইবার লা লিগার শিরোপা জিতিয়েছিলেন তিনি। তবে, ২০০০ সালের জুলাইয়ে ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে রিয়ালে চলে যান তিনি। এর চার মাস পর ব্যালন ডি’অর জেতেন ফিগো।
পরের বছর বার্সার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ফিগো খেলতে গেলে বার্সার সমর্থকরা তাকে লক্ষ্য করে বোতল, পানি, বিয়ারের ক্যান ছুঁড়ে মারে। প্লাকার্ডে ফিগোর বিরুদ্ধে নানা বিদ্রুপাত্মক স্লোগান লেখে কাতালানরা সমালোচনা করেন। সেদিন তিনি কানে হাত রেখে বার্সা ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি করেছিলেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারো যখন বার্সার হয়ে মাঠে নামতে ইচ্ছুক ছিলেন ফিগো, তখন বার্সার সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে তার ইচ্ছেটা অপূর্ণই রয়ে গেল।
স্পোর্টিং, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ আর ইন্টার মিলানের হয়ে ফিগো খেলেছিলেন ৭৯৫টি ম্যাচ। বার্সার জার্সি গায়ে লা লিগায় ২৪৯ ম্যাচ খেলে তিনি গোল করেন ৪৫টি। আর রিয়ালের হয়ে ২৩৯টি ম্যাচ খেলে গোল করেন ৫৭টি। কাতালানদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে না পারলেও রিয়ালকে এ শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ০৫ জুন ২০১৫
এমআর