ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

খেলা

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে মামুনুলদের সাফ মিশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০২, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে মামুনুলদের সাফ মিশন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

স্পোর্টস ডেস্ক: নেপাল-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ২৩ ডিসেম্বর মাঠে গড়িয়েছে সাফ ফুটবলের ১১তম আসরের খেলা। সেই ধারাবাহিকতায় গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ‘বি’ গ্রুপের দল বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান।

কেরালার ক্রিবান্দরাম স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায়।

১৯৯৩ সাল থেকে সাফ শুরুর আসর বাদে পরের প্রতিটি আসরেই অংশ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সাফের ১০টি আসরে লাল-সবুজের দল শিরোপা জিতেছে মাত্র ১ বার। ২০০৩ সালে নিজেদের মাঠে মালদ্বীপকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ পায় লাল-সবুজের দল। পরের আসর ২০০৫ সালে পাকিস্তানে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ফাইনালে ভারতের কাছ হেরে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টিম বাংলাদেশকে। এর পরের তিন আসরে সাফে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ততটা উজ্জ্বল ছিলোনা। ২০০৯ সালে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে  হেরে বিদায় নেয়ার পর গেল দুই আসরে নক আউট পর্বেই উঠা হয়নি মামুনুল ইসলামদের।

সেই খেদ ঘোচাতেই এবার সাফ যাত্রা করেছে মামুনুল ইসলামরা। সাফ যাত্রায় ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে ১৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে লালসবুজের কোচ ও দলপতি বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হতেই আমরা সাফে যাচ্ছি। আর চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা বেশ ভাল ভাবেই নিয়েছি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের সাফ যাত্রা শুরু হবে বাংলাদেশ দলের। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি খুব সহজ হবেনা বলেও ওই দিনের সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, লাল-সবুজের দলপতি মামুনুল।

তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে গেল বছর ইনচনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস থেকে যেখানে মামুনুল ইসলামের একমাত্র গোলে আফগানিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

মুখোমুখি লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে ১টিতে জয় পেয়েছ বাংলাদেশ। বাকি চারটি ম্যাচই হয়েছে ড্র।
 
এমন পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে মোটেও পিছিয়ে রাখা যাবেনা সাফের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তানকে। কারণ নিজেদের শক্তি-সামর্থের প্রমান দিয়েই গেল আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটি। সেই ধারাবাহিকতা এই আসরেও বজায় রেখে শিরোপা  ধরে রাখতে চাইবে কাবুলিয়ালার দেশ আফগানিস্তান।

শুধু গেল আসরেই নয় তার আগে সাফের নবম আসরেও দুর্দান্ত খেলেছে খোরাসানের সিংহরা। ২০১১ সালে ভারতে আয়োজিত ওই আসরে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের ‍দুটিতেই জয় নিয়ে সেমিফাইনালে আসে ফয়সাল শায়েস্তারা। আর সেমিফাইনালের ম্যাচে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত উঠে যায় সাফের ফাইনালে। তবে ফাইনাল ম্যাচে ঠিক পেরে উঠেনি স্বাগতিকদের সাথে। ভারতের কাছে ৪-০ গোলে বিদ্ধস্ত হয়ে রানার্স আপ থেকেই তুষ্ট হতে হয়।

স্নায়ু ক্ষয়ের খেলা ফুটবল মুহুর্তে মুহুর্তে যার রং বদলায়। এই ম্যাচে কে সেরা? বাংলাদেশ নাকি আফগানিস্তান? এমন প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে দু’দলের মধ্যকার খেলার রেফারির বাঁশির শেষ ফুঁ পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।