২৬৬ রানের লক্ষ্যে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন ব্যাকফুটে সেই গোমরা মুহূর্ত থেকে দলকে উজ্জ্বল মুহূর্ত উপহার দেয়ার আগ পর্যন্ত তার মনে একটি বিষয়ই স্থান করে নিয়েছিল আর সেটা হল, কোন ঝুঁকিপূর্ণ শটস নয়।
রিয়াদ বলেন, ‘আমার ইচ্ছে ছিল ইতিবাচক থাকবো।
বাংলাদেশের এমন ঐতিহাসিক জয়ের দিন রিয়াদের সঙ্গে ব্যাটে নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গ দিয়ে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দু’জনের দারুণ বোঝাপড়ায় এক পা দু’পা করে দল পেয়েছে স্বস্তির জয়। তবে মজার ব্যাপার হলো দু’জনের অপ্রতিরোধ্য ব্যাটে টাইগাররা যখন ১০০ রানের দলীয় সংগ্রহ পেয়েছে, তখনও জয়ের বিষয়টি রিয়াদের চিন্তায় আসেনি।
‘জেতার চিন্তা ছিল না। প্রথম চিন্তায় ছিলো শুধু ব্যাটিং করবো। দেখা যাক। কোথায় গিয়ে দাঁড়াই আমরা। যখন আমরা আস্তে আস্তে ক্লোজ হচ্ছিলাম তখন সাকিবকে বললাম যে এখন সুযোগ আছে। ছাড়া যাবে না যেভাবে হোক। ’-যোগ করেন তিনি।
এমনই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কিউই বোলারদের মোকাবেলা করে দু’জন গড়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২২৪ রানের জুটির রেকর্ড। সাথে দল পেয়েছে অসাধারণ জয়। যা রিয়াদের মনে বইয়ে দিচ্ছে অনাবিল এক ভালোলাগার পরশ। আর এই জয়ে শুধু নিজেদেরই নয়, বোলারদেরও ক্রেডিট দিতে ভুলে গেলেন না এই সিনিয়র টাইগার ক্রিকেটার।
তিনি আরও বলেন, ‘জয়ের পর অবশ্যই খুবই ভালো লাগে। সবাই খুবই বোস্ট আপ ছিলো। জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার মনে হয় বোলারা খুব ভালো জব করেছে। সাকিব ইকোনমি বোলিং করেছে। মোসাদ্দেক ৩ উইকেট পেয়েছে। ওই স্পেলটায় খুবই ক্রুশিয়াল ছিলো। রুবেল ডেথে। তাসকিন আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। বোলাররা সবাই ভালো মতো পুলব্যাক করেছে। তা না হলে ওদের টোটাল রানটা বেশি হয়ে যেত। ’
সঙ্গতই বলেছেন রিয়াদ। কেননা মোসাদ্দেক, তাসকিন, রুবেল, মোস্তাফিজের উইকেট পাশাপাশি মাশরাফি, সাকিবের হিসেবি বলেই ২৬৫ রানে আটকে গেছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। যা টপকাতে সাকিব-রিয়াদকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ শটসও খেলতে হয়নি এবং বাংলাদেশও পেয়েছে অবিস্মরণীয় এক জয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ১০ জুন, ২০১৭
এইচএল/এমএমএস