গত ২৭ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলেছিল টাইগাররা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটিতে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৩৪১ রান তুলেও শেষদিকের নাটকীয়তায় হার মানতে হয়েছিল।
সেই হারে খানিক পশ্চাতপদতা, অল্প স্বল্প গ্লানি ও ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে নিজেদের আরও ঝালিয়ে নিতে লন্ডনের কেনিংটন ওভালের উদ্দেশে বার্মিংহাম ছেড়েছিল। দুর্ভাগ্য, ৩০ মে’র সেই ম্যাচটিও টাইগাররা নিজেদের করে নিতে পারেনি। এরপর তো ১ জুন থেকে শুরু হয়ে গেল মূল আসরের লড়াই। যেখানে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনশ’ ছাড়ানো দলীয় স্কোর করেও ৮ উইকেটের বড় হারের পর ৫ জুন দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেল।
প্রস্তুতি ম্যাচ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারে কেনিংটন ওভালকে আমি বাংলাদেশের জন্য ‘অপয়া’ বলে আখ্যা দিয়েছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সাথে যখন বৃষ্টি বাধায় পয়েন্ট ভাগাভাগি হলো, তখন সেই ওভালকেই আবার সৌভাগ্যের প্রতীক বলা শুরু করলাম।
কারণ সেদিন যদি আর চারটি ওভারও খেলা হয়, তাহলে বৃষ্টি আইনে জিতে যাওয়ায় আজকের বাংলাদেশের জায়গায় অস্ট্রেলিয়াই বার্মিংহামের এই সেমিফাইনালটিতে থাকতো। কিছুই করার নেই! কেননা এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য। অনিশ্চয়তার বেড়াজাল যেখানে চিরন্তন।
ওভালের দেয়া সেই এক পয়েন্টের বর নিয়ে কার্ডিফ গিয়ে নিউজিল্যান্ডকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠার পথটি প্রায় নিশ্চিত করলো সাকিব-রিয়াদরা। প্রতিবন্ধকতা ছিল শুধু ওই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি।
ওই প্রতিবন্ধকতার বুহ্যও টাইগাররা উৎরে গেল যখন বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়ার ৪০ রানে হেরে গেল। টিম টাইগারস উঠে গেল স্বপ্নের সেমিফাইনালে।
স্বপ্নের সেমির লড়াইয়ে সামিল হতেই আবার শুরুর সেই বার্মিংহামে ফিরেছে লাল-সবুজের দল। ১৫ জুন এখানেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠার মিশনে লড়বে মাশরাফি ও তার দল। যদি ম্যাচটি জিততে পারে তাহলে গড়া হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন এক ইতিহাস। লেখা হবে নতুন এক মহাকাব্য। যা কীনা আবার ওভালে যাওয়ার দরজা উন্মুক্ত করবে।
আর যদি সেই অনন্য জয়টি না আসে তাহলে শুরুর সেই ওভাল দিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যাত্রা শেষ করতে হবে। তাতে অবশ্য হারানোর কিছু নেই। বরং সেই হারেও মিশে থাকবো গর্ব ও নতুন এক উচ্চতা ছোঁয়ার আনন্দ।
স্থানীয় সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ১২ জুন, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম