এমন ঐতিহাসিক মঞ্চে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বার্মিংহামের এজবাস্টনে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা’য়।
ওয়ানডেতে ভারতের সাথে বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ৩২টি। যেখানে ২৬টিতেই কোহলিদের জয়। আর বাংলাদেশ নিজেদের করে নিতে পেরেছে ৫টি। বাকি একটি ম্যাচ হয়েছে পন্ড।
তাতে অবশ্য ভারতের নির্ভার থাকার কোন কারণ নেই। কেননা ২০০৭, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে টিম লাল-সবুজের দেয়া সেই কঠিন সময় দলটি নিশ্চয় ভুলে যায়নি।
তাছাড়া ২০১৫ সালের পর দেশ ও বিদেশের মাটিতে বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকেই দেখেছে টিম ইন্ডিয়া।
সেই বদলে যাওয়া টাইগাররাই সেমিতে কোহলিদের মোকাবেলা করবে। তবে শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, জয়ের লক্ষ্যেই খেলবে মাশরাফি ও তাঁর দল। আর ভারতের বিপক্ষে হেভিওয়েট এই ম্যাচে জয় পেতে বেশ আত্নবিশ্বাসী টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তবে এই লক্ষ্যে তিনি কো্ন চাপ নিতে চাইছেন না। বরং চাপমুক্ত হয়েই ভারতকে মোকাবেলা করতে চাইছেন। সতীর্থদেরও বলে দিয়েছেন চাপমুক্ত হয়ে খেলতে।
‘এই ম্যাচে আমরা কোন চাপ নিতে চাইছি না। বরং চাপমুক্ত হয়ে্ ভারতকে মোকাবেলা করবো। ’
সেটা করতে পারলেই মনে হয় ইতিবাচক কিছু হবে। কেননা ভারতের কাছে না হারানোর এই ম্যাচে মাইন্ডগেমে কিন্তু এগিয়ে থাকছে টাইগাররাই।
কারণ হল, ভারত একদিকে যেমন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তেমনি শৌর্য বীর্যে্য বাংলাদেশের চাইতে ঢেঢ় এগিয়ে থাকায় দেশটির প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে। যা সন্দেহাতীতভাবেই দলটির উপর অদৃশ্য এক চাপ তৈরী করে রেখেছে।
বাংলাদেশ যদি সেই সুযো্গটি লুফে নিতে পারে তাহলে অবশ্যই ভাল কিছু হবে। এর ওপর আবার আশার সঞ্চার করছে এজবাস্টনের উইকেট।
কেননা সেমিফাইনালের লড়াইকে সামনে রেখে যে উইকেটটি প্রস্তুত করা হয়েছে সেটি রান প্রসবা। তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও সাব্বিরের সাথে বেশি নয় আরেক টাইগার ব্যাটসম্যান জ্বলে উঠতে পারলেই এখানে ৩শ’র বেশি সংগ্রহ এনে দিবে মাশরাফিদের।
আর এই সংগ্রহের পর বল হাতে টাইগার বোলাররা জ্বলে উঠতে পারলে ইতিহাস তৈরীর কা্জটি অমসৃন হওয়ার কথা নয়।
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি যতটাই ইতিহাস গড়ার হাতছানি দিচ্ছে তার চাইতেও বড় ইতিহাস গড়ার হাতছানি ভারতের সামনে। কেননা এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সর্বোচ্চ চতুর্থবারেরমত ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আর শিরোপা জিততে পারলে সেটাও হবে সর্বোচ্চ। কেননা ২০০২ ও ২০১৩ সালের পর টানা দ্বিতীয় ও সর্বোচ্চ ৩ বারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’র চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতবে কোহলির ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এইচএল/এএটি/