মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ভাসাভি ফ্যাশন লিমিটেডের সহযোগিতায় এ কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কাবাডি খেলা আমাদের জাতীয় খেলা হওয়া সত্ত্বেও এটা গ্রামাঞ্চলে বেশি পরিচিত। শহরেও এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে আমাদের এ উদ্যোগ। ভবিষ্যতে এমন প্রতিযোগিতা দেশব্যাপী আয়োজনের চিন্তা রয়েছে।
এবারের টুর্নামেন্ট থেকে চ্যাম্পিয়ন বালক ও বালিকাদের দু’টি দল ভারতে অনুষ্ঠেয় কিডস কাবাডি টুর্নামেন্টে অংশ নেবে বলেও জানান ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, কাবাডির মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে আমাদের জাতীয় পতাকা পরিচিত করতে চাই। সেই প্রত্যাশা থেকে খেলোয়াড় তৈরির জন্য স্কুল পর্যায়ে কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যেন ছোটবেলা থেকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে।
দেশে জাতীয় পর্যায়ে কাবাডি খেলার কোনো অবকাঠামো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, মৌলভীবাজার ও বাগেরহাটে বেসরকারি উদ্যোগে দু’টি কাবাডি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। ফুটবল-ক্রিকেটের মতো কাবাডিকে আমরা জনপ্রিয় করতে চাই। জাতীয় খেলা বিবেচনায় যতোটা চর্চা করা সম্ভব তা করার আহ্বান রইলো।
শহরের দখল করা মাঠগুলো পুনরুদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান তিনি।
ভাসাভি ফ্যশান লিমিটেডের চেয়ারম্যান তামিম বলেন, আমরা গত দেড় বছর ধরে কাবাডির সঙ্গে আছি। এখন আমরা ২০১৮-১৯ সালের কাজ করছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে এ ধরনের উদ্যোগের পাশে থাকতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৬৫ লাখ টাকা বাজেটের এ টুর্নামেন্টে ৫টি ভেন্যুতে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মোট অংশ নেওয়া ১৭২৫ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯৪৫ জন বালক ও ৭৮০ জন বালিকা। পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪০ হাজার টাকা এবং রানারআপ দল পাবে ৩০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
পিএম/ওএইচ/