রেকর্ড ৭ ম্যাচ হাতে রেখে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের শিরোপা আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল লিভারপুল। অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা স্বপ্নের ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখার।
আর সেই উদযাপন শুরুর আগে আরেকটি রোমাঞ্চকর জয় পেলো ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে চেলসিকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে অলরেডরা। সেই সঙ্গে ব্লুজদের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো লিভারপুল। দু’দলের গত ১০ ম্যাচের লড়াইয়ে মাত্র একটিতে জিতেছে চেলসি। তাও ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে।
৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ২৩তম মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন নাবি কেইতা। ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলেক্সান্দার-আরনল্ড। দ্বিতীয় গোল হজমের রেশ কাটতে না কাটতেই ৪৩তম মিনিটে ফের পিছিয়ে পড়ে চেলসি। এবার অলরেডদের উল্লাসে ভাসান জিয়র্জিনো ভিজনালদাম।
তবে রোমাঞ্চ ছড়াতে অপেক্ষায় ছিল চেলসিও। প্রথমার্ধের যোগ করা তৃতীয় মিনিটে একটি গোল শোধ দেন অলিভিয়ের জিরো। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে চতুর্থ গোল হজম করে বসে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শিষ্যরা। ৫৪তম মিনিটে ব্যবধানটা ৪-১ করেন রবার্তো ফিরমিনো।
এরপরই ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় চেলসি। ৬১তম মিনিটে ট্যামি আব্রাহাম এবং ৭৩তম মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের গোলে তা আরও জোরালো হয়। কিন্তু ৮৪তম মিনিটে আবারও গোল হজম করে তারা। শেষ পযর্ন্ত অক্সলাড-চেম্বারলেইনের গোলে ৫-৩ ব্যবধানের জয়ের পর শিরোপা উৎসবের মেতে ওঠে লিভারপুল।
ম্যাচের পর লিভারপুলের হাতে শিরোপা তুলে দেন পূর্বসূরি ড্যানি ডালগ্লিস। অলরেডদের জয় অবশ্য অপেক্ষা বাড়ালো চেলসি। ম্যাচটিতে তিন পয়েন্ট আদায় করতে পারলে সেরা চারে থেকে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত হতো ল্যাম্পার্ডের শিষ্যদের। তবে তার জন্য এখন মৌসুমের শেষ ম্যাচ পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাদের।
এদিকে করোনার কারণে সমর্থকদের মাঠে আসা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু লিভারপুল সমর্থকদের ৩০ বছরের অপেক্ষা কোনো বাধা মানেনি। আতশবাজি ও গানের কলরবে আকাশ ছেয়ে ফেলে অলরেড সমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২০
ইউবি