সিরি’আ লিগের ২০১৯/২০ মৌসুমের গোল্ডেন বুট জয়ের পথে সিরো ইমোবিলের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু জুভেন্টাসকে শিরোপা এনে দিলেও ইতালিয়ান শীর্ষ লিগের সর্বোচ্চ গোলের এই পুরস্কার হাতছাড়া হয়ে গেছে পর্তুগিজ উইঙ্গারের।
সিরি’আ লিগের গোল্ডেন বুট এবং ইউরোপের গোল্ডেন শু, দুই পুরস্কারই ওঠেছে সিরো ইমোবিলের হাতে। লাৎসিও স্ট্রাইকার এই দুই পুরস্কার জয়ের পথে চলতি মৌসুমে ৩৬ গোল করে ছুঁয়েছেন গঞ্জালো হিগুয়েনের ইতালিয়ান শীর্ষ লিগে করা রেকর্ডও।
তবে গোল্ডেন বুট জিতলেও ইমোবিলের দল লাৎসিও মৌসুম শেষ করেছে নাপোলির বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হেরে এবং পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ হয়ে। অবশ্য শেষ ম্যাচেও নিরাশ করেননি ৩০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। লাৎসিওর হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে লিগের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়ের দৌড়ে থাকলেও মৌসুমের শেষ ম্যাচে মাঠে নামেননি রোনালদো। মাউরিসিও সারির দলও নিজেদের মাঠে হেরেছে ৩-১ ব্যবধানে। রোনালদো এবার মৌসুম শেষ করলেন ৩১ গোল নিয়ে। সিরি’আ লিগের শীর্ষ গোলদাতাদের তালিকায় ২৩ গোল নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন ইন্টার মিলানের বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু।
ইতালিয়ান লিগ ছাড়াও ইউরোপিয়ান শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ গোল করেছেন ইমোবিলে। যা বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কির চেয়ে দুই গোল বেশি। এই দৌড়ে রোনালদো আছেন তৃতীয় স্থানে।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গোল্ডেন বুট জিতলেন ইমোবিলে। ২০১৩/১৪ মৌসুমে ২২ গোল নিয়ে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ইতালিয়ান তারকা। ২০১৭/১৮ মৌসুমে ২৯ গোল নিয়ে মাউরো ইকার্দির সঙ্গে গোল্ডেন বুট ভাগাভাগি করেছিলেন তিনি।
তবে একটা জায়গায় আবারও ইতালিয়ান লিগকে গর্ব করার মতো উপলক্ষ এনে দিলেন ইমোবিলে। রোমার জার্সিতে ২০০৬/০৭ মৌসুমের গোল্ডেন শু জয়ী ফ্রান্সেসকো টট্টির পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন তিনি।
মাঝখানে কেবল ২০০৭/০৮ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে রোনালদো এই পুরস্কার জিতেছিলেন। এরপর বাকি মৌসুমগুলোতে প্রতিবারই ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন লা লিগার তারকারা। তার মধ্যে লিওনেল মেসি একাই জিতেছেন তিনবার। তবে এবার বার্সেলোনা অধিনায়ক লিগ শেষ করেছেন ২৫ গোল নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২০
ইউবি