বাঁচা-মরার লড়াই- এমন সময়ে তার চেয়ে ভালো আর কেইবা থাকবেন! বছরের পর বছর ধরে বিরাট কোহলি কাজটা করে যাচ্ছেন ঠিকঠাকভাবে। রান খরায় আছেন, ফুরিয়ে গেছেন বলেও কথা উঠছে।
আইপিএলে তার ফর্মে ফেরার ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুও। তাতে টুর্নামেন্টও টিকে থাকল তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে গুজরাট লায়ন্সকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট। শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ৪ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার শুভমন গিল। আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ২২ বলে ৩১ রান করে রান আউট হন।
তিন নম্বরে খেলতে নামা ম্যাথু ওয়েডও ১৩ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তাদের বিদায়ের পর গুজরাটকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও ডেভিড মিলার।
৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ বলে ৬২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া। ২৫ বলে ৩৪ রান আসে মিলারের ব্যাটে। শেষদিকে ৬ বলে ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রশিদ খান। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে ব্যাঙ্গালুরু।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকেন ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফ্যাফ ডু প্লেসি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে ডু প্লেসি আউট হলে এই জুটি ভাঙে। ৫ চারে ৩৮ বলে ৪৪ রান করে রশিদ খানের বলে আউট হন তিনি।
কোহলিকেও ফেরান আফগানিস্তানের এ স্পিনার। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। রশিদ খানকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন কোহলি। তাদের বিদায়ের পর বাকি কাজটা সারেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও দিনেশ কার্তিক। ৮ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় তারা।
এ ম্যাচ জিতে ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে ব্যাঙ্গালুরু। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে তারা হারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে ব্যাঙ্গালুরুর প্লে অফ খেলা, জিতলে অবশ্য চলে যাবে দিল্লি। আগামীকাল চেন্নাইয়ের কাছে রাজস্থানের বড় হারও পরের পর্বে নিয়ে যেতে পারে কোহলিদের।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
এমএইচবি/জেডএ