ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

নির্বাচন এলেই কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ কেন?

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১১, অক্টোবর ২০, ২০২৫
নির্বাচন এলেই কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ কেন? ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন

ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিদেশি কূটনীতিকরা আবারো দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এটা নতুন কিছু নয়।

অতীতে বাংলাদেশের প্রতিটি সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিদেশি কূটনীতিকদের এ ধরনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। এবারও সেই ধারাবাহিকতাই চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের যোগাযোগ ধীরে ধীরে বাড়ছে।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন ঘিরে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার  মতো। সে সময় প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনীতিকরা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন। অতীতে নির্বাচন সামনে রেখে কোনো কোনো দেশের কূটনীতিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠেছিলো। এছাড়া ২০০৬-০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সময় মার্কিন, ব্রিটিশ এবং জাতিসংঘের কূটনীতিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ঘটছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।  

কূটনীতিকরা কেন বৈঠক করছেন
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠকের বিষয়ে সদ্য অবসরে যাওয়া বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রদূত বাংলানিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন বিদ্যমান। সে কারণে এখানে অতীতে বিভিন্ন দেশের বিদেশি কূটনীতিকরা হস্তক্ষেপের সুযোগ নিয়েছেন। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে বা নিজেদের অভিযোগ জানাতেও বিভিন্ন সময়ে বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারস্থ হয়েছে। অন্যদিকে অনেক বিদেশি রাষ্ট্র গণতন্ত্র, সুশাসন এবং মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকে। যখন কোনো দেশে গণতন্ত্র বা মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়, তখন ওইসব দেশের কূটনীতিকরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন। এছাড়া বৈশ্বিক রাজনীতিতে বিভিন্ন দেশের কৌশলগত স্বার্থও থাকে। এ কারণে প্রভাবশালী দেশগুলো তাদের নিজস্ব ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ অনুযায়ী অন্য দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে থাকে। ’ 

তবে অপর একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের এসব বৈঠক হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। ’ 

বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বেশিরভাগ বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় দেশের আসন্ন নির্বাচন। এছাড়া গণতন্ত্রের অগ্রগতি, মানবাধিকার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়। কয়েকটি বৈঠকে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং দক্ষতা উন্নয়নের মতো দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে বলে দলগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।  

বৈঠকের বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্য 
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এসব বৈঠকের বিষয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, নিয়মিত কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা ও অবস্থান সম্পর্কে আরও বোঝাপড়া ও ধারণা পেতে এসব বৈঠক করছেন।

গত ২৮ মে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বৈঠকের বিষয়ে ঢাকার  ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন, একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে এই বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সম্পৃক্ততার বৃহত্তর উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই বৈঠক হয়।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকরা ধারাবাহিক বৈঠক করছেন। এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, জার্মানি, চীন, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা দলটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার গত ৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরদিন ৯ অক্টোবর তার সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

২৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

এর আগে ৮ জুলাই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ২২ জুন বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

আর ৪ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার খোজিন।  

জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নরওয়ে, ডেনমার্ক, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, ইতালি, আলজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বৈঠক করেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে গত ১৬ অক্টোবর বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং। এছাড়া ১৫ অক্টোবর নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরালদ গুলব্রান্ডসেন, ১৪ অক্টোবর ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার, ১২ অক্টোবর জার্মান রাষ্ট্রদূত, ৯ অক্টোবর ইতালি ও আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে বৈঠক করেন।  

জামায়াতের আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং

তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি ঢাকা সফরে এসে গত ৬ অক্টোবর জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন। ৫ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতদরা জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এনসিপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ফিলিস্তিন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা এরইমধ্যে দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

চলতি বছর ১২ আগস্ট ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিপির নেতারা। বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

৯ অক্টোবর এনসিপির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ

১৫ অক্টোবর এনসিপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতরা। জানা গেছে, বৈঠকে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রদূতরা সংস্কার ও জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্যের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচন ঘিরে এনসিপির প্রস্তুতি ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়েও কথা হয়। উভয় পক্ষই বাংলাদেশ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপ করে।

৯ অক্টোবর এনসিপির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের স‌ঙ্গে বৈঠক হয় এনসিপি নেতাদের।

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সম্প্রতি নরডিক অঞ্চলের তিন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত, সেই রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে তাদের বৈঠক নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে ওই বৈঠককে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রদূতেরা যে কারও বাসায় যেতে পারেন।  

নিজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আমি তো কলকাতায় রাষ্ট্রদূত না, এক ধাপ নিচে ছিলাম। আমি যে কারও বাসায় গিয়েছি, সমস্যা হয়নি। তবে তারা কী নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন, কী প্রত্যাশা করেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু বাসায় যাওয়া নিয়ে তাদের তেমন বলার কিছু নেই।

অন্যান্য দলের সঙ্গে বৈঠক
বাংলাদেশের অন্যান্য ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বিদেশি কূটনীতিকরা বৈঠক করছেন। গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সঙ্গেও কূটনীতিকদের বৈঠক করতে দেখা গেছে। এসব বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিলো আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রস্তুতি।

বৈঠক নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন:
বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে কেন বৈঠক করেন- মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠক একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা বোঝার চেষ্টা করেন, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায়। আমি নিজেও বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে সে দেশে নির্বাচনের আগে খোঁজ খবর নিতাম। এটা দোষের কিছু নয়। তবে আমাদের মতো দেশগুলোতে অনেক প্রভাবশালী দেশের স্বার্থ থাকতে পারে। কোনো কোনো প্রভাবশালী দেশ হয়তো কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে ফেভার করতে চায়, সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যেমন অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত হয়তো কোনো কোনো রাজনৈতিক দলকে ফেভার করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কি না, সেটা অবশ্য ভিন্ন বিষয়। ’

টিআর/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।