মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিষানের কাছে পাত্তা পাচ্ছিলেন না চেন্নাই সুপার কিংসের কোনো বোলারই। ঘরের মাঠ ২০৭ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা বেশ সহজেই পাড়ি দেবে বলে মনে হচ্ছিল।
যদিও মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য দিনটি খুব একটা মনে রাখার মতো ছিল না। ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচ করেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে বাউন্ডারি লাইনে একটি ক্যাচের পাশাপাশি একমাত্র উইকেট হিসেবে টিম ডেভিডকে শিকার করেন তিনি।
তবে দিনটি ছিল পাথিরানার। ইনজুরি থেকে ফিরেই ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন এই লঙ্কান পেসার। নিজের প্রথম বলেই ইশানকে (২৩) তুলে নিয়ে ভাঙেন মুম্বাইয়ের ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি। তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরান সূর্যকুমার যাদবকে (০)। তবে এখানে কৃতিত্ব আছে মোস্তাফিজেরও। থার্ড ম্যান অঞ্চলে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন তিনি। ভারসাম্য হারিয়ে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গিয়েছিলেন বটে। কিন্তু বলকে হাওয়া রেখে আবারও ফিরে এসে ক্যাচ নেন বাংলাদেশি এই ক্রিকেটার।
পাথিরানার এক ওভারে জোড়া ধাক্কার পর তিলক বর্মাকে নিয়ে জুটি গড়েন রোহিত। কিন্তু ৫০ রানের এই জুটি ভাঙেন পাথিরানাই। ২০ বলে ৩১ রান করা তিলক উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন শার্দুল ঠাকুরের হাতে। এরপর মুম্বাইয়ের কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন রোহিত। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে বৃথা যায় তার সেঞ্চুরি। ৬৩ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মুম্বাই থামে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। তবুও ৪ উইকেটে ২০৬ রান দাঁড় করায় তারা। ৬০ রানে দুই ওপেনার ফেরার পর শিভাম দুবেকে নিয়ে ৯০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৪০ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৬৯ রানে মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হন তিনি। তবে দুবে অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৩৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ দিকে ৪ বলে টানা ৩ ছক্কায় ২০ রান করে ২০০ পার করান মহেন্দ্র সিং ধোনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
এএইচএস