৭৮ বছর বয়সে মারা গেলেন তর্কসাপেক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা স্পিনার ডেরেক আন্ডারউড। বাঁহাতি এই স্পিনার ইংল্যান্ডের হয়ে ৮৬ টেস্ট খেলে শিকার করেছেন ২৯৭ উইকেট।
কাউন্টিতে কেবল কেন্টেই পুরো ক্যারিয়ার কাটিয়ে দিয়েছেন আন্ডারউড। ১৭ বছর বয়সেই কেন্টের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। 'ডেডলি' তকমা এই স্পিনারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ১৯৬৬ সালে। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে সাক্ষী হয়েছে অনেক ইতিহাসের। ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বোলারদের র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান ছিল তার দখলে।
বৃষ্টির পর স্যাঁতসেঁতে পিচ আন্ডারউডের মোকাবিলা করা ছিল দুর্বোধ্য কাজ। বিশেষ করে ১৯৬৮ অ্যাশেজের শেষ টেস্টের কথা তো বলতেই হয়। দ্য ওভালে আউটফিল্ডকে খেলার উপযোগী করে তুলতে মাঠকর্মীদের পাশাপাশি হাত লাগান দর্শকরা। কেননা এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ হার এড়াতে পারবে ইংল্যান্ড। দিন শেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে অবিশ্বাস্য সেই জয় এনে দেন আন্ডারউড। মাত্র ২৭ বলের ব্যবধানে চার উইকেট শিকার করেন তিনি।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তার রেকর্ড বেশ দুর্দান্ত। নিখুঁত লাইন-লেংথে বল ফেলে ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ফেলতেন তিনি। বিতর্কিত কেরি পেকার সিরিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার রেবেল ট্যুরে খেলার সিদ্ধান্ত না নিলে হয়তো তার ঝুলিতে উইকেট সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। যা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকেই থমকে দিয়েছে। ১৯৮২ সালে আন্ডারউডের শেষ টেস্ট খেলার আগপর্যন্ত ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন ফ্রেড ট্রুম্যান (৩০৭)।
সবধরনের ক্রিকেট থেকে আন্ডারউড অবসর নেন ১৯৮৭ সালে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৭৬ ম্যাচ খেলে ২ হাজার ৪৬৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ওয়ানডে ক্যারিয়ার খুব সীমিত হলেও ১৯৭৫ বিশ্বকাপসহ ২৬ ম্যাচ খেলে ৩২ উইকেট শিকার করেন তিনি। সবমিলিয়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে ৪১১ ম্যাচে ৫৭২ উইকেট তার। খেলা ছাড়ার পর ২০০৯ ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
এএইচএস