ক্রিকেট মানেই নাটকের পর নাটকীয়তা। কখনো সেই নাটক পৌঁছে যায় শ্বাসরুদ্ধকর শেষ মুহূর্তের উত্তেজনায়।
শুরুতে ব্যাট করে ১৫১ রানের টার্গেট দিয়েছিলো রংপুর রাইডার্স। জবাবে ব্যাট করতে নামে হোবার্ট হারিকেন্স। সেয়ানে সেয়ানে টক্করই দিয়েছিল হোবার্টও।
তবে তাদের ঝড় থামিয়ে দেন রাইডার্স পেসার খালেদ আহমেদ। তার ক্যারিশমাটিক বোলিংয়েই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ রানের জয় পায় রংপুর।
গ্লোবাল সুপার লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো রাইডার্স। খালেদ একাই নিয়েছেন চার উইকেট, হয়েছেন ম্যাচসেরা।
প্রভিডেন্সে আগে ব্যাট করে রংপুর ৬ উইকেটে ১৫১ রান করে। বড় জুটির দেখা না পেলেও কাইল মায়ার্সের ৪২ বলের ৬৭ রানের ইনিংস রংপুরকে লড়াকু স্কোর এনে দেয়।
তার আগে রংপুরের ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৩১ বলে করেন ৪৩ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেন ১৫ রান।
এরপর আসল কাজটা বর্তায় বোলারদের ওপর। সেখানেও উতরে গেছেন রাইডার্স বোলাররা। ১৫১ রানের টার্গেটকে তারা জয়ের জন্য যথেষ্ট করে তুলেছেন। তাতে ভেঙে গেছে হোবার্টের প্রতিরোধ চেষ্টা।
চার উইকেট নিয়ে খালেদ কাজটা অনেক সহজ করলেও শেষ ওভারের রোমাঞ্চটা সামলেছেন এক আফগান পেসার।
শেষ ওভারে হোবার্টের দরকার ছিলো ১৩ রান দরকার ছিল। বল হাতে নেন রংপুরের আজমতমউল্লাহ ওমরজাই। প্রথমটিই ছিল ওয়াইড। পরের বৈধ বলে নবী ছক্কা মারেন। এরপর উসামা দুটি রান নিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ান।
শেষ চার বলে দরকার ৪ রান। চতুর্থ বলে নবীকে ইফতিখার আহমেদের চমৎকার ক্যাচ বানান আফগান ওমরজাই। স্ট্যানরেক পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিলে তিন রানের প্রয়োজন ছিল হোবার্টের। স্কোরে সমতা ফেরাতে দুটি রান নিতে চেয়েছিলেন উসামা। বেশ ঠাণ্ডা মাথার ফিল্ডিংয়ে ইফতিখারের থ্রোতে আজমতউল্লাহ নন স্ট্রাইকার প্রান্তে দ্বিতীয় রান নিতে যাওয়া স্ট্যানলেককে রান আউট করলে। ১৫০ রানেই অস্ট্রেলিয়ান ক্লাবটি অলআউট করে রংপুর। আসে এক শ্বাসরুদ্ধকর জয়।
জেএইচ