এশিয়া কাপের আসরে ভারত ও বাংলাদেশের লড়াই মানেই আলাদা উত্তেজনা। আগামীকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আবারও দুই দল নামছে মাঠে।
ভারত সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের জোয়ারে ভাসছে। অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিলের ব্যাটে ভর করে তারা গড়েছিল টুর্নামেন্টের প্রথম শতরান পার্টনারশিপ। সেই ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবও খেলেছেন দায়িত্বশীল ইনিংস, যিনি ভারতের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছেন।
এই তিন ব্যাটার আগামীকালও ভারতের ব্যাটিং শক্তির মূল ভরসা। বিশেষ করে স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে তাদের পারফরম্যান্স ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে।
বাংলাদেশের মূল পরিকল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে স্পিন আক্রমণকে ঘিরে। তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন এই এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন, তার সঙ্গে থাকবেন অভিজ্ঞ অফস্পিনার মেহেদী হাসান। মিডল ওভারে এই দুজন যদি ভারতীয় ব্যাটারদের চাপে রাখতে পারেন, তবে টাইগারদের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমানও দলের অন্যতম ভরসা। তার কাটার ও ডেথ ওভারের বোলিং ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারত ও বাংলাদেশের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস একেবারেই ভারতের পক্ষে। ১৭ ম্যাচের মধ্যে ভারত জয় পেয়েছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ জিততে পেরেছে মাত্র একবার। এই পরিসংখ্যান দেখলে ভারতকেই নিঃসন্দেহে ফেভারিট বলা যায়। তবে ক্রিকেটের অনিশ্চয়তা সবসময়ই ম্যাচে নতুন মাত্রা যোগ করে। বাংলাদেশও এর আগে একাধিকবার বড় দলের বিপক্ষে চমক দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ যদি টসে জিতে আগে বোলিং নিতে পারে, তবে ভারতের রান ১৫০–১৬০ রানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবে। সেটিই হবে টাইগারদের সবচেয়ে বড় সুযোগ। অন্যদিকে, ভারত চাইবে টপ অর্ডারের আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে তারা প্রথম ওভার থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছিল, বাংলাদেশকেও তেমন পরিস্থিতিতে ফেলতে চাইবে তারা।
আগামীকালের ম্যাচে ফেবারিট হিসেবে ভারত এগিয়ে ঠিকই, তবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। স্পিন আক্রমণ যদি জ্বলে ওঠে আর ব্যাটাররা দায়িত্বশীলভাবে খেলতে পারেন, তবে টাইগাররা চমক উপহার দিতে পারে। অন্যদিকে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ যদি আবারও ঝলক দেখায়, তবে তাদের জয়রথ থামানো কঠিন হয়ে যাবে।
এফবি/এমএইচএম