ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআই’র প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি আবারও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে নির্বাচিত হন।
পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি আগেও ৫ বছর এই দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা যা করব, ক্রিকেটের ভালো জন্যই করব। ভারতে ক্রিকেটের প্রতি প্রচণ্ড উন্মাদনা আছে। অনেক প্রতিভা আছে, আমাদের কাজ হবে সেই প্রতিভাকে দিকনির্দেশনা দেওয়া। ’
২০১৯ সালে সিএবি’র দায়িত্ব শেষ করার পর গাঙ্গুলি বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন, পরে রজার বিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন। এ বছর শুরুর দিকে তিনি আবারও আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান হন।
চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয় নিয়েও মন্তব্য করেছেন গাঙ্গুলি। অভিষেক শর্মা (৭৪) ও শুভমন গিলের (৪৭) ইনিংসের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ভারত খুব ভালো দল। আমাদের এশিয়া কাপ জয়ের ভালো সুযোগ আছে। আশা করি আমরা ভালো খেলব। ’
এদিকে বিসিসিআই’র পরবর্তী সভাপতির পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দিল্লির সাবেক তারকা ব্যাটার মিঠুন মানহাস। তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সৌরভ বলেন, ‘আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এটা খুব বড় একটি পদ। ভারতের মতো সমৃদ্ধ ও প্রতিভাবান বোর্ডের দায়িত্ব সামলানো অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি তিনি তার টিম নিয়ে ভালো কাজ করবেন। ’
বর্তমানে বিসিসিআই সভাপতি পদটি শূন্য। আগস্টে রজার বিনি পদত্যাগ করার পর অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন রাজীব শুক্লা। মিঠুন মানহাস একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় প্রায় নিশ্চিতভাবেই তিনি সভাপতি হতে যাচ্ছেন।
আরও জানা গেছে, বিসিসিআই’র কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আসতে পারেন ভারতের সাবেক স্পিনার রঘুরাম ভাট, যিনি বর্তমানে কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। অন্যদিকে বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া পদে বহাল থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। তবে নতুন কোনো প্রার্থী না এলে দিল্লি বৈঠকে আলোচিত নামগুলোই চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এমএইচএম